নীলফামারীতে স্থায়ী দীর্ঘমেয়াতী জম্মবিরতির ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ৯ ফেব্রুয়ারী॥
নীলফামারীতে স্থায়ী  র্দীঘ মেয়াদী জন্মবিরতি ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নীলফামারী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন পরিবার পরিকল্পনার রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের পরিচালক মলয় কুমার রায়।
নীলফামারী পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফরোজা বেগমের সভাপতিত্বে এ সময় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা রোখসানা বেগম, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল হালিম (সদর), মোস্তাফিজুর রহমান পাটোয়ারী (জলঢাকা), মকবুল হোসেন (ডিমলা), আমিরুল ইসলাম (কিশোরীগঞ্জ), শাহ আলম চৌধুরী  (সৈয়দপুর) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা পরিবার পরিকল্পনার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফরোজা বেগম জানান, অর্ধ বেলা ব্যাপী ওই ক্যাম্পে দেড় শতাধিক নারী দীর্ঘমেয়াদি জম্মবিরতিকরণ ইমপ্লন্ট এবং ৩০ জন নারী ও পুরুষ স্থায়ী পদ্ধত্তি গ্রহণ করেছে। একই দিনে জেলার বাইরে ডিমলা ও কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় এ ক্যাম্প পরিচালিত হয়। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও জম্ম বিরতিকরণে মানুষের সচেতনতা বেড়েছে বলে জানান তিনি।
ক্যাম্পে স্বেচ্ছায় স্থায়ী র্দীঘমেয়াদী জন্মবিরতি পদ্ধতি গ্রহণ করতে আসা জেলার ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের ডুগডুগি ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের ললিতা রাণী রায় জানান, ছয় বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। স্বামী দিনমজুর। আমাদের অভাবের সংসার। আমার  দুইটি সন্তান রয়েছে। স্বামীর সামান্য আয়ে কোন রকমে সংসার চলে। সন্তান বেশী নিলে সংসারে অভাব বাড়বে, অশান্তি বাড়বে।
তাই সংসারের অভাবের কথা মাথায় রেখে এবং সংসারের সুখের দিক বিবেচনা করে নিজের ইচ্ছা এবং স্বামীর সম্মতিতে দীর্ঘস্থায়া জম্ম বিরতিকরণ ইমপ্লান্ট পদ্ধতি গ্রহন করতে এসেছি। একই কথা জানায় ক্যাম্পে আসা ওই গ্রামের দুই সন্তানের জননী প্রমিলা দেবী রায়সহ সেখানে অনেক মা ও শিশু উপস্থিত ছিল।
ক্যাম্পে আসা ওই সব নারীরা জানান, অনেকেটাই নিজেরাই উৎসাহিত হয়ে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠ কর্মীদের সহযোগীতায় জন্মবিরতিকরণ পদ্ধত্তির জন্য এসেছেন ক্যাম্পে। তাদের বেশীভাই দুই সন্তানের জননী।

পুরোনো সংবাদ

স্বাস্থ্য-চিকিৎসা 8898479083687800849

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item