লালমনিরহাটে গাঁজা হিরোইন ও ইয়াবাতে সয়লাভ হেরোইন ও ইয়াবা সম্রাট আশরাফুল এর খুঁটির জোড় কোথায়?

                          অভিভাবক মহল শিক্ষার্থীদের নিয়ে উদ্বিগ্ন

হাজী মারুফ রংপুর ব্যুরো অফিস :

সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাট। বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়ে আসছে মরণব্যধি নেশা হিরোইন, ইয়াবা, গাঁজা ও ফেন্সিডিল। লালমনিরহাট জেলা শহরের বানভাসা (বটতলা) মোড় এলাকার হেরোইন ও ইয়াবা সম্রাট আশরাফুলের খুঁটির জোড় কোথায়? হেরোইন ও সম্রট আশরাফুল প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা হেরোইন ও ইয়াবা বিক্রয় করে এখন লালমনিরহাট জেলা শহরে কয়েক লক্ষ টাকার সে মালিক হয়েছে। লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান যখন সদর থানায় দায়িত্বে ছিলেন সে সময়ে আশরাফুলকে হেরোইন সহ আটক করে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করেছিলেন। ‘মাদক ছেড়ে কলম ধরি, সুন্দর একটি সমাজ গড়ি, ‘যারা আগামীতে সমাজ গড়ার কারিগর হবে তারাই এখন মাদক সেবন করার ফলে তাঁদের সুন্দর ভবিষ্যত অন্ধ্যকারে নিমর্জ্জিত প্রায়’। প্রবাদ বাক্য একটি মাদকাসক্ত ছেলে, একটি পরিবার ধ্বংসের মূল। আশরাফুল জামিনে বেড়িয়ে এসে ১ থেকে দেড় বছর থেকে সে প্রকাশ্যে হেরোইন ও ইয়ারা বিক্রয় করে আসছে পুলিশ-প্রশাসনের নাকের ঢগার উপর দিয়ে। মাদক সম্রাট আশরাফুলকে ডিবি পুলিশ-সদর থানা পুলিশ কয়ের বার আটক করার পরও হেরোইন ও ইয়ারা ব্যবসা বন্ধ করেনি বরং দিন দিন বেপোয়ারা হয়ে উঠেছে মাদক সম্রাট আশরাফুল। মাদক সম্রাট আশরাফুলের মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে কয়েকটি দৈনিক ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর মাদক সম্রাট ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের নানারূপ ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছিল। মাদক সম্রাট আশরাফুলকে পুলিশ আটক না করতে পারলে লালমনিরহাট শহরের স্কুল-কলেজ এবং উঠতি বয়সের ছেলেদের ভবিষ্যত নিয়ে অভিভাবক মহল উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। অভিভাবক মহলে দেখা দিয়েছে নানা ধরনের প্রশ্ন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক দৈনিক নতুন স্বপ্ন প্রতিবেদকের কাছে বলেন, পুলিশের সাথে মাদক সম্রাট এর আতাঁত রয়েছে, তা না হলে প্রতিদিন উঠতি বয়সের ছেলেদের বানভাসা (বটতলা) মোড় এলাকায় শত শত ছেলে মাদক সেবন করে ওই এলাকার পরিবেশ বিগ্ন সৃষ্টি করছে। মাদক সেবনকারীদের ভয়ে ওই এলাকার মানুষের রাতে বেলা নির্বিগ্নে ঘুম পাড়তে পারে না, বানভাসা (বটতলা) মোড় এলাকায় মাদক সেবনকারীদের অত্যাচারে সন্ধ্যা হলে রাস্তা দিয়ে পথচারীরা একা চলাফেরা করতে সাহস পায় না।
জেলা শহরের প্রতিটি এলাকায় হাত বাড়ালেই মিলছে মরণব্যধি নেশা। যার হাতে থাকবে কলম, তাদের মুখে মরণব্যধি নেশা হিরোইন, ফেন্সিডিল ও গাঁজা। যে যুবকেরা আগামীতে দেশ ও জাতির নেতৃত্ব দিবে, সেই যুবকেরা মাদকের ছোবলে আসক্ত হয়ে পড়েছে। নেশা সেবন করার ফলে যুবসমাজ মেধা শুন্য হয়ে পড়ছে। শুধু যুবসমাজেই নয় স্কুল, কলেজের ছাত্ররাও মরণব্যধি নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। মাদকের টাকার জন্য যুবকেরা মা-বাবাকে মারধর পর্যন্ত করে থাকে। ‘রক্ষক যখন ভক্ষক হয় তখন আর করার কিছুই থাকে না’। মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে ম্যানেজ করে দেদারচ্ছে মাদকের রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোয়ারা নিয়ে থাকে কতিপয় অসাধু পুলিশ সদস্য। গাঁজা হিরোইন ও ইয়াবাতে সয়লাভ জেলা শহর, অভিভাবক মহল শিক্ষার্থীদের নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারিদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ পথচারীরা। পথচারিরা সন্ধ্যা হলেই ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছে মাদক সেবনকারীদের ভয়ে। জেলা শহরের অলিগলিতে সন্ধ্যা হলেই চলাফেরা করতে ভয় পাচ্ছে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ পথচারীরাও । মাদক ব্যবসার ফলে জেলা শহরে প্রতিনিয়ত চুরি, ছিনতাই ঘটেই চলছে। কতিপয় পুলিশ সদস্য মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোয়ারা নেয়ার ফলে মাদক ব্যবসা বন্ধ হওয়ার চেয়ে দিন দিন ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। পুলিশ প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য আইনে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীকে সশ্রম কারাদন্ড ও জরিমানা করে থাকে। জেলে যে টাকা খরচ হয়েছে, সে টাকা পুষিয়ে নিতে মাদক ব্যবসায়ীরা মরিয়া হয়ে উঠে টাকার জন্য। মাদক ব্যবসায়ীরা জেল থেকে বেড়িয়ে এখন অভিনব কায়দায় ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক সেন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা সহজ-সরল ছেলেদের কিছু টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের দ্বারা ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে থাকে। মূল ব্যবসায়ী পুলিশ-প্রশাসনের ভয়ে ভায়াকরা লোকদের দিয়ে দেদারচ্ছে দিবারাত্রী মাদকের রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের অভিনব কৌশল অবলম্বন করে সেবনকারীদের কাছ থেকে আগে টাকা নিয়ে চলে যায় এবং মোবাইল ফোনে বলে দেয় ঠিকানা আমার ভায়াকরা লোকের দেখা করলে কাজ হয়ে যাবে অথবা বড় বড় গাছের নীচে ফেলে রাখে যখন ফাকা দেখে তখন মাদক কোথায় আছে ঠিকানা দেখায় দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে চলে যায় ওই স্থান থেকে। জেলা শহরের ৩০টি মাদক স্পর্ট চলছে রমরমা মাদকের বাণিজ্য। মাদক স্পর্ট এলাকাগুলো হচ্ছে, বানভাসা মোড়, বটতলা, মিশন মোড়, টিএনটিপাড়া, মদিনাপাড়া, ষ্টেডিয়ামপাড়া, তেলিপাড়া, জেল রোড, মদিনাপাড়া, নর্থবেঙ্গল মোড়, বিডিআরহাট, খোঁচাবাড়ি, বসুন্ধরা, আলোরূপা মোড়, সাহেবপাড়া, স্টেশন রোড, শাহজাহান কলোনী, উত্তরা সিনেমা রোড, সাধুটারী, চুরিপট্টি, সুইপাড় পট্টি, কাজী কলোনী, কালীবাড়ি, সাপটানা, লিচু বাগান, ড্রাইভারপাড়া, ফায়ার সার্ভিস রোড, রিফোজী কলোনী, চাঁদনী বাজার, টিউমল পাড়া, নামাটারী, তিনদিঘি, খ্রিষ্ঠানপাড়া।

পুরোনো সংবাদ

লালমনিরহাট 3326846375161234777

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item