কিশোরগঞ্জে সরকারী বই বিতরনে টাকা নেয়ার অভিযোগ
https://www.obolokon24.com/2016/02/kisargang_5.html
বিপিএম জয়,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিকের সরকারী বিনা মুল্যের বই বিতরনে টাকা নেয়ার অভিযোগ করেছেন শিক্ষক নেতাসহ বিদ্যালয় প্রধানরা। বই বিতরনে চা মিষ্টি খাওয়ার কথা বলে প্রায় ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
শিক্ষক নেতাও বিদ্যালয় প্রধানদের অভিযোগ থেকে জানা গেছে, এ উপজেলায় ১৫৮ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিজন প্রধান শিক্ষককের কাছ থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা ও ১৭টি কিন্ডার গার্ডেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৫ শত টাকা থেকে ২ হাজার টাকা করে চা মিষ্টি খাওয়ার কথা বলে আদায় করেছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও উত্তর গাড়াগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষা অফিসার মাসুদুল হাসান সহকারী শিক্ষা অফিসারকে দিয়ে প্রতিটি বিদ্যালয় প্রধানদের কাছ থেকে বই দেয়ার সময় ১০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেছেন।
পুষনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন ,প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিনা মুল্যের বই বিতরনের সময় মিষ্টি খাওয়ার কথা বলে ৫০ টাকা করে নেয় দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা।
মুশা বটতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহজাহান আলী বলেন, বই নেয়ার পর যখন স্যার মিষ্টি খাওয়ার কথা বলেছে তখন আমি ৫০ টাকা দিয়েছি।
বড়ভিটা মেধা বিকাশ কিন্ডার গার্ডেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামিল হোসেন বলেন, বই বিতরনের সময় বাচ্চারা অনেক কষ্ট করেছে তাই আমি ৫০০ টাকা দিয়েছি। কোন বাচ্চারা কষ্ট পেয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্যার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান থেকে শিক্ষার্থী এনে বই বিতরন করিয়েছে।
কেল্লাবাড়ী শিশু নিকেতন কিন্টার গার্টেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাশ চন্দ্র জানান, তিনি বই নেয়ার সময় প্রথম ধাপে এক হাজার ও দ্বিতীয় ধাপে ৩০০ টাকা দিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরো অনেক শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, স্যার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ও বহিরাগত বাচ্চাদের দিয়ে বই বিতরন করে তাদের খাওয়ানোর অজুহাত দেখিয়ে টাকা আদায় করেছেন।
বই বিতরনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আফজালুল হকের সাথে কথা বললে তিনি শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুল হাসানের সামনে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ২০-৩০ টাকা এবং কিন্টার গার্টেন এর জন্য ৫শত থেকে এক হাজার টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন শিক্ষকরা স্বেচ্ছায় চা মিষ্টি খাওয়ার জন্য টাকা দিয়েছে। তবে আমি স্যার এর নির্দেশে নিয়েছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুল হাসান বলেন , বই বিতরনে সময় টাকা নেয়া ভুল হয়েছে কিন্তু বিষয়টি আমি জানতামনা। তবে তিনি সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন সংবাদটি প্রকাশ না করার জন্য।