কিশোরগঞ্জে নদীর বুকে চাষাবাদ ! দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে নদীর অস্তিত্ব

বিপিএম জয় কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)ঃ 

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া  এক সময়ের খর¯্রােতা নদীগুলো শুকিয়ে গিয়ে এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। এসব নদীর বুকে চাষ হচ্ছে ইরিধান,ভুট্টা,মসুর ডালসহ নানা ফসল।

জানা গেছে, এ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে ৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ৫টি নদী । ধাইজান, বুড়িখোরা, চাড়ালকাটা,যমুনেশ্বরী ও বুল্লাই। নদীগুলোতে এক সময় পুর্ণ যৌবন ছিল, ছিল খর¯্রােতা। ভারতের উজানে ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে এক তরফা পানি নেয়ায় নদীগুলোর অস্তিত্ব হারিয়ে যেতে বসেছে। কৃষকরা নদীর বুকে চাষ করছে ইরিধান,ভুট্টা,মসুরডাল সহ নানা ফসল।নদীর বুকে এখন শুধু দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ।
সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন র্বোড(পাউবো) সূত্রে জানায় একটি নদীতে নির্দিষ্ট কিউসেক পরিমান পানি থাকতে হবে।না থাকলে নদীটি আস্তে আস্তে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে।
বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামের নদীর বুক চাষাবাদকারী মনজের আলী বলেন নদীতে পানি না থাকায় জেগে উঠা চড়ে চাষাবাদ করতে বেশ সুবিধা,বিনা হালচাষ ও সার ছাড়াই ভালো ফসল উৎপাদন করা যায় এবং ফসলের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অন্যান্য জমির চেয়ে অনেক বেশি।উত্তর চাঁদখানা গ্রামের নদীর বুক চাষী দেলদার রহমান বলেন,বন্যার সময় নদীর জেগে উঠা চড় গুলোতে প্রচুর পলি জমে।পলি গুলো অপসারণ না করায় নদীগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে।বন্যার সময় আমাদের ব্যাপক ফসল হানি ঘটে।আমন আবাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে জেগে উঠা চড়ে চাষাবাদ করি।
এব্যাপারে কিশোরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,নদী গুলোকে টিকিয়ে রাখতে ও পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রাখতে নদী খনন কাজ করতে হবে।তা না হলে এ উপজেলার মানচিত্র থেকে নদীগুলো হারিয়ে যাবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8873715430756680449

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item