জলঢাকায় নৌকা প্রতীক নিয়ে দুই চেয়ারম্যানের যুদ্ধ
https://www.obolokon24.com/2016/02/jaldhaka_23.html
মর্তুজা ইসলাম-জলঢাকা প্রতিনিধি :
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান এবার সাধারণ ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা বাদ দিয়ে নৌকা প্রতিকের জন্য দৌড় ঝাপ শুরু করেছে দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে। মঙ্গলবার সরেজমিন এলাকা ঘুরে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায় , এ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মুকুল ও সাবেক চেয়ারম্যান রোকনুজ্জামান খোকনের দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ চলে আসছে। বর্তমান চেয়ারম্যান মুকুল এক সময় বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় সংগঠন বিরোধী কাজ করায় ১৯৯৬ সালে দল থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়। পরে তিনি ১৫ ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন। অন্য দিকে সাবেক চেয়ারম্যান খোকনের বাবা সহর-উল্লাহ মিয়া মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সফল রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৬ সালে সহর-উল্লাহ মিয়া চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চেয়ারম্যান থাকাকালীন অবস্থায় তিনি স্বাধীনতা বিরোধীদের রোষানলে পরে কারাবন্দি থাকেন। সে অবস্থায় একজন নিরীহ দেশ প্রেমিককে অন্যায় ভাবে কারাগারে প্রেরণ করায় পরবর্তীতে তার স্ত্রী রহিমা বেগমকে ওই ইউনিয়নের ভোটারগণ বিপুল ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। নীলফামারী জেলার ইতিহাসে রহিমা বেগম প্রথম মহিলা ইউপি চেয়ারম্যান। রোকনুজ্জামান খোকন পারিবারিকভাবেই ত্যাগী আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান। দলের ক্রান্তি লগ্নে তার ভুমিকা অপরিসীম বলে জানান, দীর্ঘ দিনের ওই ইউনিয়নের ত্যাগী নেতাকর্মীরা। যার ফলে ২০০৩ সালে তিনি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করলে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন। নির্বাচন প্রসঙ্গে খোকন জানান,‘আমি নির্যাতিত ও ত্যাগী আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান। দলের নেতারা যদি বিপথগামী না হয় তাহলে আমি অবশ্যই দলীয় মনোনয়ন পাবো। ‘অপরদিকে বর্তমান চেয়াম্যান সাইফুল ইসলাম মুকুল বলেন,বিএনপি থেকে বহিস্কৃত হওয়ার পর ১৯৯৬ সালে আমি মরহুম আওয়ামীলীগ সংসদ সদস্য আজাহারুল ইসলামের ও ২০১৪ সালে ৫জানুয়ারীর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়মীলীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করি। তাই আমি আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দাবি করছি। বিবদমান দুই চেয়ারম্যানের নৌকা প্রতীকের জন্য দৌড়ঝাপ এলাকায় ভোটারদের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।