জলঢাকায় মাত্র ৪৮০ টাকার জন্য বন্ধু হত্যা॥ আটক ৩ বন্ধু
https://www.obolokon24.com/2016/02/jaldhaka.html
মর্তুজাইসলাম,জলঢাকা,ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারীঃ
মাত্র ৪৮০ টাকার জন্য তিন বন্ধু মিলে হত্যা করেছে সাহেব উদ্দিন ঘুটু (১৪) নামের তাদের বন্ধুকে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলনা কালীগঞ্জ গ্রামে। নিহত ঘুটু ওই এলাকার ঝালমুড়ি বিক্রিতা বাদশাহ মামুদের ছেলে। সোমবার সকালে স্থানীয়রা গ্রামের বাঁশঝাড়ে লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে দুপুরে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে হত্যার শিকার সাহেব উদ্দিন ঘুটুর তিন বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ। আটকৃতরা হলো একই গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মনোয়ার হোসেন (১৫), হযরত আলীর ছেলে সালা উদ্দিন (১৪), আইয়ুব খানে ছেলে টিটু (১৩)। আটক তিন বন্ধু জানায় পুলিশকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানায় রবিবার (৩১ জানুয়ারী) রাত আটটার দিকে গোলনা কালীগঞ্জ বঙ্গবন্ধুহাটের বাবার ঝাঁলমুড়ির দোকান থেকে বিক্রির ৪৮০ টাকা নিয়ে একাই বাড়ি ফিরছিল সাহেব উদ্দিন ঘুটু। এ সময় পথে ঘটুকে আটক করে তারা। এরপর কৌশলে বিড়ি খাওয়ার কথা বলে পার্শ্ববর্তী একটি ভুট্টাখেতে নিয়ে যায়। এরপর ঘুটুকে ধাক্কা দিয়ে ভুট্রা ক্ষেতে ফেলে দিয়ে তার পকেটে থাকা ৪৮০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এতে সাহেব উদ্দিন ঘুটু প্রতিবাদ করলে তারা ঘটুর গলায় মাফলাম পেচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। এরপর লাশ ভুট্রা ক্ষেত থেকে টেনে নিয়ে গ্রামের পাশ্ববর্তী একটি বাঁশঝাড়ে বেধে রেখে নিজ নিজ বাড়ি চলে যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মারুফ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানান আটককৃতরা এই হত্যার কান্ডের সাথে জড়িত ছিল তা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছে।
জলঢাকা থানার ওসি (তদন্ত) মফিজ উদ্দিন শেখ সাংবাদিকদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই ৩ জনকে তাদের বাড়ী আটক করা হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে। এদের সাথে আরো কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে। তিনি আরও জানান, হত্যার শিকার সাহেব উদ্দিন ঘুটুর বাবা বাদশা মামুদ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।#