ইবিতে চাকরি প্রত্যাশীদের তান্ডবে পরিবহন চলাচল বন্ধ

হুমায়ুন কবীর জীবন,ইবি প্রতিনিধি :
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও তান্ডব চালিয়েছে চাকরী প্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা। শনিবার বেলা দুইটার দিকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে একপর্যায় বেলা সোয়া তিনটার দিকে অনুষদ ভবন এবং ব্যবসায় প্রশাসন ভবনে প্রবেশ করে সান্ধ্যকালীন কোর্সের শিক্ষার্থীদেরকে ধাওয়া দিয়ে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেয়। এসময়ে তারা ভয়ে ছোটাছুটি করতে থাকে। আন্দোলনের কারনে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকয় চরম ভোগান্তি পড়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, শনিবার বেলা একটার দিকে চকরি প্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মাহবুব হোসেন, শফিকুল ইসলাম, আনিসুজ্জামান লিটনসহ ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমার দাস, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজু প্রশাসনের কর্তাব্যাক্তিদের সাথে আলোচনায় বসে। এতে উপস্থিত ছিলেন ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকার, প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান, প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান। আলোচনায় চাকরির বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়ায় চাকরি প্রত্যাশীরা দুপুর দুইটা দিকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। একপর্যায় বেলা আড়াইটার দিকে চাকরি প্রত্যাশী রাসেল জোয়ার্দ্দার, তৌফিকুর রহমান হিটলার, কাশেম মাহমুদ, মিজানুর রহমান টিটু, শফিকুল ইসলাম, ইলিয়াস জোয়ার্দ্দারসহ ২৫-৩০ বহিরাগত ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে টানানো সান্ধ্যকালীন কোর্সের ব্যানার এনে প্রধান ফটকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এসময় ক্যাম্পাসে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এদিকে বেলা বেলা তিনটার দিকে ওই গ্রুপটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ এবং ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে প্রবেশ করে বিভিন্ন বিভাগের সন্ধ্যাকালীন কোর্সের শিক্ষার্থীদেরকে রুম থেকে বের করে দেয়। এসময় শিক্ষকদেরকেও তারা লাঞ্ছিত করে। পরে তারা ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনের এসময় তারা অনুষদ ও ব্যবসায় প্রশাসন ভবনের দরজা, জানালা এবং ফুলের টবে ভাংচুর চালায়।

এদিকে প্রধান ফটক বন্ধ থাকায় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বহনকারী কোন বাস কুষ্টিয়া এবং ঝিনাইদহ শহরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতে না পারায় চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন তারা। অনেক শিক্ষার্থী লোকাল বাসে বাদুর ঝোলা হয়ে, ঝুঁকি নিয়ে বাসের ছাদে আবার অনেকে ট্রাকে করে তাদের গন্তব্যে পৌছায়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে ছাত্রীদের। ট্রাকে কিংবা বাসের ছাদে করে গন্তব্যে পৌছানো সম্ভব না হওয়ায় বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত দুপুরে না খেয়ে অপেক্ষা করতে হয়েছে। বেলা পৌনে তিনটা দিকে প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান প্রধান ফটকের তালা ভেঙ্গে গেট খুলে দিলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাস ছাড়া ভাড়ায় চালিত বাস চলাচল বন্ধ ছিল। পরে বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে ক্যাম্পাসের পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পরিবহন প্রশাসক প্রফেসর ড. মামুনুর রহমান বলেন“ চালকদের সাথে কথা হয়েছে বর্তমানে গড়ী চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে প্রতিনিয়ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধন ফটকে আটকে দিয়ে গড়ী চলচল বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছে শিক্ষার্থীরা। এবিষয়ে ফলিত রসয়ন ও রাসয়ানিক প্রযুক্তি বিভাগের ছাত্র মাহমুদ যুবাইর, ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী রিতু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,“ এ ভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। চাকরির নামে যারা ক্যম্পাস অস্থিতিশীল করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

ব্যব্যসায় প্রশান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবু সিনা বলেন“ প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন“ ক্যাম্পাস স্বাভাবিক করতে চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এ বিষয়ে ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন,“ চাকরির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নিষেজ্ঞা রয়েছে। এটা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত কোন কিছুই করা সম্ভব হবে ন।”

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 5509463123282071229

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item