ডোমারে মাদকাসক্তরা জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধ
https://www.obolokon24.com/2016/02/domar_15.html
এক মাসের ব্যবধানে ১০টি চুরি ৩টি ছিনতাই একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
নীলফামারী ডোমারে মাদকসেবীরা এখন নেশার টাকা জোগাড় করতে জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধ কর্মে। এদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় অভিভাবক মহল তাদের স্কুল-কলেজগামী সন্তানদের নিয়ে দারুন দুশ্চিন্তা দিনাতিপাত করছেন। ডোমার সীমান্ত ঘেষা উপজেলা হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই এখানে ভারত থেকে পাচার হয়ে আসা ফেন্সিডিল, বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ, হিরোইন, গাঁজার রমরমা ব্যাবসা কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এর সাথে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ইয়াবা সহ যৌন উত্তেজক পানীয়। পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে চুনোপুঠি ধরা পরলেও, চিহ্নিত রাঘব বোয়ালরা থাকছে ধরা ছোয়ার বাইরে। এতে চুরি ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি স্কুল-কলেজগামীরাও আসক্ত হয়ে পড়ছে এই মরণ নেশায়। ডোমারে ১০টি স্পটে সন্ধ্যা হলেই শুরু হয় মাদক বিক্রেতা ও মাদক সেবিদের আনাগোনা। উল্লেখযোগ্য স্পট গুলির মধ্যে মহিলা কলেজ মাঠ, সরকারী কলেজ মাঠ, ডোমার বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, রেল ষ্টেশন, ডোমার বন বিভাগ এলাকা ও চাকধা পাড়া এলাকা, রেলঘুমটি ব্রীজের পাড়, কাঁচাবাজার এলাকা, কনিকা সিনেমা হল এলাকা অন্যতম। যে সকল মাদক বিক্রেতা ডোমারে দাপিয়ে ব্যাবসা করছে তাদের মধ্যে ফরেষ্ট এলাকায় বেচুয়া, কাজী পাড়ায় রুপা ও তার স্বামী মিজানুর, ডোমার বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় ছানু ও তার ছেলে বাবু, আরডিআরএস মোড় এলাকায় সফিয়ার, কাঁচাবাজার এলাকায় জট ওয়ালী পাগলী এই অবৈধ ব্যাবসা নিয়ন্ত্রন করে। এদের মধ্যে চুনোপুঠি দু একজনকে ধরে চালান দিলেও জামিনে বেড়িয়ে এসে তারা ফের পূর্বের পেশায় জড়িয়ে পড়ে। অপর দিকে এক মাসের ব্যবধানে ডোমারে ১০টি চুরি ৩টি ছিনতাই ১টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসকল চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনায় মাদক সেবিরা জড়িত। অপর দিকে মায়া মার্কেটে একাধিক চায়ের দোকানে ক্রিকেট বাজীর নামে বড় জুয়ার আসর প্রধান কারণ বলেও অনেকে জানান। এবিষয়ে ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, মাদক ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান আছে। কোথাও মাদকের খরব থাকলে আমাকে জানাবেন তাৎক্ষনিক আইনগত ব্যবস্থা নিবে।