ডিমলায় বিরল প্রজাতির শকুন উদ্ধার ,শকুনের পায়ে ঢাকা ১৩/২৬ টোকেন লাগানো
https://www.obolokon24.com/2016/02/dimla_32.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ১৬ ফেব্রুয়ারী॥
একটি বিরল প্রজাতির শকুন উদ্ধার করেছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার র্প্বুছাতনাই ইউনিয়নের এলাকাবাসী। মঙ্গলবার দুপুরে শকুনটি অসুস্থ্য হয়ে অবস্থায় পাওয়া যায়। বিকালে শকুনটি ডিমলা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে হস্তান্তর করে এলাকাবাসী। উদ্ধার হওয়া শকুনটির পায়ে একটি স্টিলের টোকেন জাতীয় সিল রয়েছে। তাতে লিখা রয়েছে ঢাকা ১৩/২৬। এতে ধারনা করা হচ্ছে বিরল প্রজাতির শকুনটি চিরিয়াখানার হতে পারে।
পুর্বছাতনাই ইউনিয়নের গহরপুর বিএমআই কলেজের অধ্যক্ষ সুলতান আলী জানান মঙ্গলবার দুপুরে শকুনটি প্রথমে তার বাড়ির শিমুলগাছে এসে বসে। এরপর তার বাড়ির অদুরে নাউতারা নদীতে গিয়ে শুকুনটি উড়ে গিয়ে পড়ে গেলে আর উড়তে পারছিলনা।এলাকাবাসীকে ডেকে এনে নদী থেকে শুকুনটি উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন বিষয়টি ডিমলা উপজেলা প্রানী সম্পদ হাসপাতালে যোগাযোগ করে বিকালে এসে শকুনটি তাদের হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে ডিমলা উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা হয় ওই উপজেলা প্রাণীসম্পদ চিকিৎসক সারা বানু তহুরার সাথে। তিনি বলেন বিরল প্রজাতির শকুনটির পায়ে টোকেন ১৩/২৬ লিখা রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে এটি চিরিয়াখানার শকুন হতে পারে।
নীলফামারীর জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন জানান বিষয়টি জানার পর রংপুর বনবিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা এসে শকুনটি নিয়ে রংপুর চিরিয়াখানায় হস্তান্তর করবে।
সুত্রমতে এটি ভালচার (ঠঁষঃঁৎব) নামে বিরল প্রজাতির শকুন। এ ধরনের শকুন এখন আর দেখা যায় না। এ প্রজাতির শকুন এখন বিলুপ্তির পথে। দেশ স্বাধীনের আগে শকুনের আনাগোনা লক্ষ্য করা গেলেও এখন আর তেমনটা চোখে পড়ে না। এটি যে চিরিয়াখানার শকুন এতেই মনে করা হচ্ছে।