প্রযুক্তির ছোঁয়া যাযাবরদের জীবনে। টং ঘরের চালে সৌর বিদ্যুৎ এর প্যানেল!

জাহাঙ্গীর আলম রেজা, ডিমলা নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
স্থায়ী ভাবে তারা সাভার জেলার পোড়াবাড়ির বাসিন্দা। ৪৫-৫০ টি পরিবারের একটি যাযাবর দলে রয়েছে ছোট বড় মিলে ১৪৭ জন সদস্য।ডিমলা থানার ব্র্যাক অফিস সংলগ্ন মাঠে ডেড়া পেতেছে । যাযাবদের জীবন যাত্রার মান সরেজমিনে দেখতে গিয়ে চোখে পড়লো ঢেড়ার প্রতিটি টং ঘরের মাথায় একটি করে সৌর বিদ্যুৎএর প্যানেল লাগানো। এ ব্যাপারে কথা হলো যাযাবরদের সর্দার কাজল মিয়ার (৬৫) সাথে। সর্দার কাজল মিয়া তুলে ধরলেন যাযাবরদের বর্তমান জীবন যাপন সম্পর্কে। যাযাবররা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে জীবন যাপন করলেও তাদের জীবন এখন আলোকিত করেছে সৌর বিদ্যুৎ। যাযাবরদের ছেলেরা বিষধর সাপের খেলা দেখিয়ে ও মেয়েরা সিংগা দিয়ে পা হতে বিষাক্ত রক্ত বের করে(?) (বাতের ব্যথা কমানোর একটি কথিত পদ্ধতি,) দাঁতের পোকা বের করে, তাবিজ-কবজ বিক্রি ও যাদু দেখিয়ে সনাতনী পদ্ধতিতে সামান্য আয় রোজগার করলেও তারা জীবনকে আলোকিত করতে, জীবনে আধুনিকতার ছোয়া লাগাতে, নিজের অর্থায়নে সৌর প্যানেল কিনে তাদের প্রতিটি টং ঘরের চালে লাগিয়েছে। মনে হয় এ যেন এক ডিজিটাল যাযাবর গোষ্টী। এর ফলে ঢেড়ার রাত্রী কালীন নিরাপত্তা, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া, মোবাইল ফোন ব্যবহারে চার্জিং সুবিধা, সোলার টিভি, সোলার ফ্যান ব্যবহার করে জীবনকে আধুনিক ভাবে উপভোগ করছে। যাযাবর দলের বিভিন্ন সদস্য হোসেন আলী (৪৪), সাধু মিয়া (৬০), সোহেল  (১৮) ছাইদুল (৩২) রজব আলী (১৮) জাহাঙ্গীল (২৮) শরিমিয়া (৪০), শহিদুল্যা (৭৫) এর সাথে কথা বললে তারা জানান, এই ডিজিটাল যুগে তারা আর কষ্টের যাযাবর জীবন যাপন করতে চান না। তারাও চান স্বাাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করতে। তাদের দাবী তাদের জীবন যাত্রার মান স্থায়ী ভাবে উন্নত করার জন্য বর্তমান বাজেটে তাদের জন্য বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা করে তাদের স্থায়ী বসবাসের জায়গা, ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনার জন্য বিশেষ স্কুল, রেশনিং পদ্ধতির ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানান।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4463935037080313290

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item