শুস্ক মৌসুমে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ২৮ জানুয়ারী॥
  তিস্তা নদীতে উজান থেকে ঢল নেমেছে। শুকিয়ে থাকা তিস্তায় হু-হু করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নব যৌবনে ফিরে আসছে তিস্তা নদী। নদী জুড়ে চলছে স্রোত ধারা। সংশ্লিষ্টরা  বৃহ¯পতিবার জানায় গত ৭ দিন ধরে দুই হাজার কিউসেকের উপরে পানি প্রবাহ চলছে তিস্তা নদীতে। শুস্ক মৌসুমে এ ধরনের পানি প্রবাহ থাকলে ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া সম্ভব হবে। বৃহ¯পতিবার পর্যন্ত নীলফামারী,দিনাজপুর ও রংপুর জেলায় ২৫ হাজার হেক্টর জমি সেচ পেয়েছে।
সুত্র মতে গত বছর নদীতে পানি সল্পতার কারনে ৮ হাজার হেক্টর জমির বোরো ক্ষেতে সেচ দেয়া সম্ভব হয়েছিল। চলতি শুস্ক মৌসুমে গত দুই মাস ধরে নদীর পানির প্রবাহ চলে আসছিল ৫০০ থেকে ৬০০   কিউসেক। ফলে চলতি খরিপ-১ মৌসুমে সংশ্লিষ্টরা মাত্র ১০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা রেখে গত ৫ জানুয়ারী সন্ধ্যায় পানি স¤পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বীর প্রতীক এমপি মাধ্যমে সেচ কার্যাক্রমের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধোধন করা হয়েছিল।
বর্তমানে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেচ এলাকা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। আজ বৃহ¯পতিবার সকাল থেকে নীলফামারীর ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরীগঞ্জ, নীলফামারী সদর, সৈয়দপুর, রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া ও দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর পর্যন্ত সেচ ক্যানেলে পানি সরবরাহ করছে। সুত্রমতে উজান থেকে যে পানি আসছে তা তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ টি জলকপাট বন্ধ রেখে সেচ ক্যানেলে নদীর পানি প্রবেশ করানো হচ্ছে।
তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান বলেন, তিস্তা নদীর পানি এখন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধি কারনে রংপুরের গঙ্গাচড়া ও দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর পর্যন্ত পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। তিনি জানান, এবার খরিপ ১ মৌসুমে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। কিন্তু পানি বৃদ্ধির কারনে সেচ দেয়া যায় ২৫ হাজার হেক্টরে। উজানের পানি বৃদ্ধি ও প্রাপ্তিতা ভাল হলে চলতি মৌসুমে ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া সম্ভব হবে।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 6430846436233641487

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item