বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক,শিকিাদের মানবেতর জীবন যাপন।

আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শেগড়া শিক্ষক ও মানুষ গড়ার কারিগর।আমরা (২০-২২) হাজার বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকাগন জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বর্তমানে অবসর প্রাপ্ত আছি। আমরা অবসরে আসার পর থেকে সরকারী কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছিনা। শিক্ষকদের প্রাপ্য সকল সুযোগ-সুবিধা আদায়ের লক্ষে আমরা গত ৩০মার্চ ২০১৪ ইং সালে (নীলফামারী চৌরঙ্গী মোড়ে) মানব বন্ধন করি, এসময় সাত দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারক লিপি ও প্রদান করি, আমরা। উক্ত সাত দফা দাবী বাস্তবায়নে বক্তারা অভিযোগ করেন চাকুরীরত অবস্থায় আমরা টাইম স্কেল,ইনক্রিমেন্ট,গ্রাইচুটি এর কোনো সুযোগ সুবিধা পাইনি এমনকি এখন অবসরে গিয়েও এলপিআর ও পেনসনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত আছি। এদিকে চাকুরী থেকে অবসরে যাওয়ার পর থেকে আমাদের জীবন হয়ে পড়েছে দুর্বিসহ এবং মানবেতর ।অর্থের অভাবে প্রবীণএই  শিক্ষক, শিক্ষিকাদের ভুগতে হচ্ছে চিকিৎসাহীনতায়।অর্থের প্রকট অভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শেগড়া শিক্ষকদের থাকতে হচ্ছে অর্ধাহারে অনাহারে।শিক্ষকদের দুঃখ ও দুর্দশা সংবলিত এই বিষয়টিকে ২০১২ সালে জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন সাবেক সংসদ সদস্য জনাব লায়ন জাফর ইকবাল সিদ্দিকী,তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টিকে নিজ কাধে তুলে নেওয়ার কথা বলেন।কিন্তু দেখতে দেখতে কেটে গেল আশার চার বছর,কাটেনি হতাশার কুয়াশা।তবুও আশায় বুক বেঁধে রয়েছি আমরা। দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার জন্য এবং দেশের গরীব দুঃখী খেটে খাওয়া মেহনতী  মানুষের জন্য দিনরাত অকান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।১৯৭৩ সালে যখন দেশে একটি টাকাও রিজার্ভ ছিলনা,গাদ্যগুদাম গুলোতে একফোঁটা খাবার ছিলনা,একটি টাকাও রেমিটেন্স ছিলনা ঠিক তখন সাহসীকতার সহিত জাতির পিতা শিক্ষার মান উন্নয়নে ও শিক্ষকের দুঃখ দুর্দশা লাঘবের জন্য ৩৭হাজার স্কুল জাতীয় করণ করেছেন। আর তারই পদাঙ্ক অনুসরন করে জাতির জনকের সুযোগ্য কণ্যা দেশনেত্রী, দেশরত্ন শেখ হাসিনা।গেলাপের তথ্য মতে ৭৭ জনপ্রিয়তা অর্জনকারী,থাইল্যান্ডের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ভিত্তাই বাতাকুলের মতে বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত হিসেবে আখ্যায়িত তিন তিনবার সফলভাবে নির্বাচিত দুরদর্শী গনতন্ত্রের মানষ কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সুদীর্ঘ ৩৯ বছর পর ২৬১৯৩ টি স্কুল জাতীয় করণ করেছেন, যা ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক দয়ালু।আমরা আশা করি তিনি অচিরেই আমাদের সকল সমস্যা সমাধান করে দিবেন এবং এলপিআর সহ পেনসনের সকল সুবিধা প্রদানে আমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস ।

অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক মোঃ রেয়াজ উদ্দিন(৬৩)।

ইউনিয়ন- গোমনাতী ,উপজেলা-ডোমার, জেলা- নীলফামারী

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 4519428825243927839

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item