পীরগঞ্জে সরকারী আইনকে তোয়াক্কা না করে অবৈধ ভাবে ইট তৈরী
https://www.obolokon24.com/2016/01/rangpur_39.html
হাজী মারুফ রংপুর ব্যুরো অফিস :
সরকারী আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নিয়ম বর্হিভূত ভাবে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী ইটভাটা স্থাপন ও ইটের জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করছে কাঠের গুড়ি, ফলে পরিবেশের বিপর্যয়সহ আবাদি কৃষি জমি হারাচ্ছে উর্বরতা শক্তি। এ সব শত অনিয়ম দেখার জন্য কেউ নেই রংপুর পীরগঞ্জ উপজেলায়। সরে জমিনে ১৫টি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় অর্ধ শতাধিক ইটের ভাটা সরকার থেকে পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই বাড়ীর পার্শ্বে স্কুলের পার্শ্বে জনাকিন্ন বাজারের পার্শ্বে স্থাপন করা হয়েছে ও সেগুলোতে কৃষি জমি টপসয়েল লোভনীয় মুল্যে ক্রয় করে ইট তৈরী করা হচ্ছে এবং ইট গুলো পোড়ানোর জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশের গোড়া এবং কাঠের গুড়ি। ভাটা গুলোর মধ্যে কুমেদপুর ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামের এমএফএম ফারুকের ভাটা, কাঞ্চনপুর গ্রামের লাভলুর ভাটাসহ, চতরা, খালাশপীর, টুকুরিয়া, রামনাথপুর, মাদারগঞ্জ, শানেরহাট এলাকার ভাটা গুলিতে সরকারী নিয়ম ভঙ্গ করে কয়লার পরিবর্তে কাঠের গুড়ি দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন সুধী ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে পীরগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের মধ্যে ভিআইপি মর্যাদার আসন। অত্র উপজেলায় আকাশ সমান অনিয়ম প্রকাশ্যে সরকারী আইনকে তোয়াক্কা না করা কোন ভাবে বরদাস্ত করতে পারছে না। এ ব্যাপারে বেশ কয়েকজন ইটভাটা মালিকদের সাথে কথা হলে তারা দম্ভ করে বলেন সাংবাদিক সাহেব আমাদের ইট ভাটা মালিক সমিতি পীরগঞ্জে রয়েছে। সেখানে আমাদের প্রচুর টাকা দেওয়া আছে। সেখান থেকে সবাইকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করা হয়। পত্রিকায় লিখে কিছুই হবে না। উপজেলা সুশীল সমাজ পরিবেশবাদী আপামর জনসাধারণের দাবী সরকারী নিয়ম অনুযায়ী সব ছাড়পত্র নিয়ে পরিবেশ বান্ধব স্থানে ইট ভাটা স্থাপন করা হয়। বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপ বিশেষ দৃষ্টিতে দেখবে আশাবাদ এলাকাবাসী।