খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আমলে নিয়ে আদালতের সমন ।

 ডেস্ক রিপোর্টঃ

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে করা নালিশি মামলা আমলে নিয়ে সমন দিয়েছেন আদালত। তাঁকে আগামী ৩ মার্চ সশরীরে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মমতাজ উদ্দিন আহমদের নালিশি আবেদনের পরিপ্রেেিত ঢাকার মহানগর হাকিম মো. রাশেদ তালুকদার আজ সোমবার দুপুরে এই আদেশ দেন।
আদালতের আদেশের পর বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত চত্বরে বিােভ শুরু করেন।
এর আগে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন আদালত। বাদীর পে আদালতে ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আইনজীবী সাহারা খাতুনসহ আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা।
বিএনপির চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা গ্রহণে সকালে আদালতে আবেদন করেন মমতাজ উদ্দিন।
আবেদন প্রসঙ্গে মমতাজ উদ্দিন বলেন, আবেদনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা আমলে নেওয়ার পাশাপাশি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আরজি জানানো হয়েছে। অপরাধ হয়েছে কি হয়নি, তা খতিয়ে দেখে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিতে পারেন, সমনও দিতে পারেন।

‘স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে’—খালেদা জিয়ার এমন মন্তব্যের পর মমতাজ উদ্দিনের একটি আবেদন পর্যালোচনা করে বিএনপির চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করার অনুমতি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মমতাজ উদ্দিন ওই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করতে সম্প্রতি সরকারের উচ্চপর্যায়ের কাছে সহায়তা চান। এর পর সরকারের প থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন ওই আইনজীবী। মন্ত্রণালয় গত বৃহস্পতিবার তাঁকে মামলা করার অনুমতি দেয়।

আইনজীবীর আবেদনে বলা হয়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। এ ছাড়া জাতির পিতা ও আওয়ামী লীগ নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করেছেন তিনি। এটা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল বলে মনে করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনি নোটিশ দেওয়ার পরও তিনি মা চাননি বা বক্তব্য প্রত্যাহার করেননি।

তবে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে খালেদা জিয়ার বক্তব্যে রাষ্ট্রদ্রোহের কিছু নেই বলে দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, দণ্ডবিধির ১২৪-এ ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, খালেদা জিয়ার বক্তব্য এ সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না। রাষ্ট্রদ্রোহ হয় যদি কেউ সরকার উৎখাতের চেষ্টা করে। যদি কেউ সরকারের প্রতি জনগণকে উসকে দেওয়ার জন্য বক্তৃতা দেয়, তাহলে সেটা রাষ্ট্রদ্রোহ। এখানে খালেদা জিয়া কোনো রাষ্ট্রদ্রোহ করেননি।

গত ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। আজকে বলা হয়, এত লাখ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে খালেদা জিয়া দাবি করেন, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 3244589260851737182

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item