নীলফামারীতে পাঠ্যবই বিতরণে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি॥
নীলফামারীর বিভিন্ন প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরনে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানায় উচ্চ বিদ্যালয়ে আড়াইশত টাকা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।
শনিবার নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানা  টাকা দিতে না পারায় ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বই ছাড়া খালি হাতে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হয়।
 ওই বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ হতে নবম শ্রেনী পর্যন্ত  ৫৫৯ জন  শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ৭ম হতে ৮ম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম, আব্দুর রহমান ও ৭ম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ তানজিনা জানান, 'আমরা নতুন বইয়ের জন্য স্কুলে গেলে হেডস্যার ২৫০ টাকা করে চেয়েছে। তা না হলে আমাদেরকে বই দিবেনা। তাই আমাদেরকে খালি হাতেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।''শুধু তাই নয়, এ চিত্র গোটা নীলফামারী জেলার ৬ উপজেলা বিভিন্ন হাইস্কুল,মাদ্রাসা ও প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে  বিরাজ করছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দাবি করা হচ্ছে ৫০ টাকা করে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে পরিবহন ও লেবার খরচ বাবদ সামান্য কিছু টাকা নেওয়া হচ্ছে। জেলা সদরের ইটাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবার ৫০ টাকা করে দাবি করা হয়। যারা টাকা দেয়নি তারা বই পায়নি।
 জলঢাকা উপজেলা মাধ্যমিক শিা কর্মকর্তা আশরাফ-উদ-জামান সাংবাদিকদের বলেন, 'ইতিমধ্যে এমন অভিযোগটি আমার কানে এসেছে। আমি প্রতিষ্ঠান  প্রধানদের সতর্ক করে দিয়েছি।
'অপরদিকে ওই  বিদ্যালয়টির প্রধান শিক আব্দুল মান্নান  সাংবাদিকদের বলেন,  'আমরা সেশন ফি'র টাকা নিচ্ছি বইয়ের জন্য নয়।
এদিকে জেলা প্রাথমিক  শিা কর্মকর্তা দিলীপ কুমার বণিক বলেন, কোনোভাবে অর্থ আদায়ের প্রশ্ন আসে না। স্কুলে বই পৌঁছানোর খরচও সরকার বহন করছে। কোন বিদ্যালয়ে খরচ বাদ টাকা চাইলে তিনি সরাসরি তার কাছে অভিযোগ জানাতে বলেছেন।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 1328604026718034295

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item