ডোমারে পরিকল্পিত ভাবে অষ্টম ও নবম শ্রেনীর ছাত্র/ছাত্রীর বাল্য বিয়ে সম্পন্ন।

আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার(নীলফামারী) প্রতিনিধি>>

নীলফামারীর ডোমারে পরিকল্পিত ভাবে ডেকে নিয়ে অষ্টম ও নবম শ্রেনী পড়–য়া ছাত্র/ছাত্রীর বাল্য বিয়ে দিলেন এলাকার কুচক্রি মহল। ঘটনাটি ঘটেছে, ডোমার পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ড কলেজপাড়া গ্রামে। সরেজমিনে যানাযায়, ১৯ জানুয়ারী মঙ্গলবার রাত ৯টায় উক্ত গ্রামের আইয়ুব আলী(পাতাকাটা)’র কন্যা ডোমার বালিকা বিদ্যা নিকেতনের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী রোকশানা বেগম(১৪) এলাকার কিছু বখাটে ও বাবা মায়ের পরামর্শে প্রাইভেটের বন্ধু আন্ধারু মোড় জোরপাখুড়ি গ্রামের আতিয়ার রহমানের পুত্র ডোমার বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্র ইসমাইল হোসেন(১৬)কে রোকশানা বাড়ীতে আসতে বলে। ইসমাইল সরল বিশ্বাসে তাদের বাড়ীতে যায়। পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকার রোকশানার ভাই মোকছেদুল ও এলাকাবাসী চোর বলে ছেলেটিকে ধাওয়া করে। এবং তাকে প্রচুর মারধর করে। ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রাজ্জাক রাজা ও ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনারুল ইসলাম ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। রোকশানার বাবা দূর্নাম বদনামের কথা ভেবে দুজনের বিয়ে দিতে বলে। কাউন্সিলরগণ ছেলে ও মেয়ে নাবালক ভেবে আইনি জটিলতার কথা ভেবে কৌশলে সটকে পড়ে। শেষে রাত ১২টায় অন্যত্র হতে কাজী এনে নাবালক ছেলে ও মেয়ের বাল্য বিয়ে দেয় কুচক্রি মহলের লোকজন। এবিষয়ে কাউন্সিলর রাজা জানান, ছেলেটিকে আটকানোর পর আমাকে খবর দিলে গিয়ে দেখী বিয়ের কথা বলছে আমি নিষেধ করে চলে আসি পরে কি হয়েছে জানিনা। কাউন্সিলর আনারুল জানান, এলাকার ছেলের কথা শুনে গেলাম, দেখী পরিস্থিতি অন্য রকম আমাদের কথা শুনছে না। বিয়ে না দিলে পুলিশে দিবে বলে শেষে জোর পূর্ব বিয়ে দেয়। বিয়ের সময় আমরা উপস্থিত ছিলাম না। তবে ছেলের বাবা মা এবিয়ে কখনোই মেনে নিবে না। এবিষয়ে কর্তপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ছেলেটির পরিবার। 

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2717403230368660477

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item