বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা হুমকির মুখে
https://www.obolokon24.com/2016/01/bd.html
রিফাত রাজ-
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড যা এখন কাগজে কলমে লিপিবদ্ধ। যার বাস্তব রুপ দান যেন মহাভারত অশুদ্ধ। যার ফলে বোংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা হুমকির মুখে। সাম্প্রতিক বেতন বৈশম্য ও পে-স্কেল, শিক্ষকদের কর্মবিরতি, এছাড়া অতীতের অনেক আন্দোলনের ফলে শিক্ষা ব্যবস্থাকে করে তুলেছে নাভিস্বাশ।
যখন দুটি হাতি মারামারি করে তখন তাদের পায়ের নিচের ঘাসগুলো পিষ্ট হতে থাকে। তদরূপ সরকার স্বতন্ত্র পে-স্কেলের দাবি মেনে না নেওয়ায় ও বাংলাদেশ শিক্ষক ফেডারেশন সমিতি কর্তৃক ঘোষিত কর্মসূচির ফলে উচ্চ শিক্ষাব্যবস্থা তাদের পায়ে পিষ্টে হচ্ছে। যার খেসারত গুনতে হচ্ছে লাখো মেধাবী শিক্ষার্থীদের।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৪৪ বছর অতিবাহিত হলেও শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বাধীনতা পায়নি আজো বাঙালীরা। অথচ আমরা স্বপ্ন দেখি ডিজিটাল বাংলাদেশের কিন্তু এই ডিজিটাল বাংলাদেশর আলোকবর্তিকা হলো শিক্ষাব্যস্থা। আজ যখন সেই আলোকবর্তিকা নিভন্ত পযার্য়ে তা প্রজ্জ্বলিত করার মনোভাব কারো মধ্যে প্রলক্ষিত হয় না। সবাই সবার আখের গোছায় ছলেবলে।
শিক্ষাব্যবস্তা পর্যবেশিত করার জন্য কারও মাথা ব্যাথা নেই। অথচ ৫২,৬৯,৭১ সালে লাখো শহীদের রক্ত ঝড়ানো দেশে শিক্ষাব্যবস্থা আজ হুমকির মুখে। যার জন্য সরকার এবং শিক্ষকদের কেই দায়ী করা হয়। কিন্তু কেন ? সরকার এবং শিক্ষক যখন একই ঘাটে জ্বল খায় তখন কোথায় থাকে তাদের এসব দাবি।
শিক্ষার্থীরা আক্ষেপ করে বলেন, সরকার ও শিক্ষকের একঘেয়েমির কারণে ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত করায় চাকরির বয়স এক বছর পিছালো, বিয়ের বয়সও।
শিক্ষকরা যখন স্বতন্ত্র পে-স্কেলের জন্য আন্দোলন করে তা যদি যৌক্তিক হয়ে থাকে তাহলে সরকার কেন গড়িমসি করে। শিক্ষিত সমাজকে কেন রাস্তায় নামাতে বাধ্য করে? সরকার তাদের সিদ্বান্তে অটল শিক্ষরা অন্দোলনে ব্যস্ত কিন্তু শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন। ঝুলন্ত অবস্থায় শিক্ষা ব্যবস্থা।
উভয় পক্ষ এভাবেই যদি তাদের সিদ্বান্তে অনড় থাকে তাহলে জাতিকে ভবিষ্যতে চরম খেসারত পোহাতে হবে তাই উভয় পক্ষকে যৌক্তিক সমাধানে আসার দাবি রাখে বিপ্লবী জাতি।
লেখক -রিফাত রাজ, শিক্ষার্থী
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।