উত্তরের হাওয়া ঢুকতেই কনকনে শীত

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ১২ ডিসেম্বর॥
পঞ্চগড়ের বালাবান্ধা হয়ে নীলফামারীর চিলাহাটি ও ডিমলা সীমান্ত হয়ে হিমালয়ে হিম শীতল উত্তরের হাওয়া ঢুকতেই কনকনে শীতের আবির্ভাব শুরু হয়েছে। সেই সাথে এক লাফে দুই ডিগ্রি নেমে গেছে দিনের তাপমাত্রা। আবার ভোর এবং রাতে কুয়াশায় মুখ ঢাকছে উত্তরের রংপুর বিভাগের নীলফামারী সহ আট জেলার শহর ও গ্রামাঞ্চল। শনিবার সকাল ছিল কুয়াশা মোড়া। এ দিন সন্ধ্যের পরও ঘন কুয়াশায় ছেয়ে গেছে চারিদিক। এ দিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রোদের দেখা ঠিকঠাক মেলেনি। মেঘের সঙ্গে লুকোচুরি খেলেছে সূর্য। দুপুরের পর থেকে কনকনে হাওয়া বইতে শুরু করে। তাতে ঠান্ডা আরও বেড়েছে। সন্ধ্যা নামতেই ঠান্ডার কাবু হয়ে পড়েন এ অঞ্চলের মানুষজন। রাস্তাঘাট ফাকা হয়ে যায়। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরের নীলফামারীর তিস্তা বিধৌত ডিমলা উপজেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩  দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি কম। সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ঠান্ডা আরও বাড়বে বলে ডিমলা আবহাওয়া দফতরের খবর।
এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় গ্রামে গ্রামে আগুনের কুন্ডুলী জ্বালিয়ে শীত নিবারন করতে শুরু করেছে মানুষজন। চিলাহাটি সীমান্তের গোমনাতী,কেতকীবাড়ি,আমবাড়ি, এলাকা থেকে খবর এসেছে শীতের তীব্রতায় মানুষজন নিজ নিজ বাড়িতে আগুনের কুন্ডলী জ্বালিয়ে শীত নিবারন করছে।
শুধু মানুষজন নয় গবাধী পশু পর্যন্ত শীতের কবলে পড়েছে। কৃষকরা তাদের গৃহপালিত গবাদী পশু গরুর গায়ে চাপিয়েছে চট।
তিস্তাপাড়ের পুর্বছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়শিঙ্গেশ্বর এলাকার হারুন মাঝি মুঠোফোনে জানান কনকনে শীত পড়েছে। ওই এলাকার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের কিছামতের চরের বাসিন্দা সহিদুল জানান শীতের তীব্রতায় আগুনের কুন্ডুরী জ্বালাতে হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে এবার কনকনে শীতের আগমন দেরিতে হলেও এসেছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 1252936840069286441

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item