ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের দেয়া অর্থে দুর্নীতি ও অনিয়মেই চলছে সৈয়দপুরের উন্নয়ন

মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের দেয়া অর্থে দুর্নীতি ও অনিয়মেই চলছে সৈয়দপুরের উন্নয়ন কাজ চলছে বলে শহরবাসীর অভিযোগ। মিউনিসিপ্যাল গভর্নমেন্ট এন্ড সার্ভিস প্রজেক্টের শহর উন্নয়ন কাজে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রতিনিধিরাও সরকারদলীয় ঠিকাদারদের সাথে মিলিত হওয়ায় এ উন্নয়ন কাজে দুর্নীতি ও অনিয়মের ভাগই বেশি হচ্ছে বলে একাধিক মহল থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়। সে ব্যাপারে সঠিক তদন্ত হলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে শহরবাসীর মন্তব্য।
অভিযোগে বলা হয়, সৈয়দপুর শহরের প্রধান রাস্তাঘাট ও ড্রেন সংস্কার করতে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক সৈয়দপুর পৌরসভার মাধ্যম প্রায় ১০ কোটি টাকার বরাদ্দ দেয়। বরাদ্দকৃত এ অর্থে সংস্কার করা রাস্তাঘাট ও ড্রেন যাতে করে আগামী ২৫/৩০ বছরেও নষ্ট না হয় সে অনুযায়ী কাজ করার কথা। কিন্তু কে শোনে কার কথা? হেনতেনভাবে এ শহরের প্রায় ৩/৪ টি রাস্তা ও ড্রেন করা হলেও দেখার যেন কেউ নেই।
মোজাম্মেল হোসেন চৌধুরী নামের এক সমাজসেবক বলেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের দেয়া ১০ কোটি টাকার মধ্যে ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা বরাদ্দে শহরের থ্যাংকস কথ স্টোর, মুক্তিযোদ্ধা সড়ক ও ড্রেন, শহীদ ডা. শামসুল হক সড়ক হতে শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক হয়ে ১নং রেলক্রসিং ও শেরে বাংলা সড়কে আরসিসি ড্রেনগুলি যে নিয়মে করার কথা তার সিকিভাগও হচ্ছেনা।
শহীদ ডা. শামসুল হক সড়কটি ২৬ ফিট চওড়া হওয়ার কথা থাকলেও করা হয়েছে ১৮/২১ ফিট পর্যন্ত। এ সড়কটিতে ১নং ইটের খোয়া দিয়ে উঁচু করে রোলার করার কথা থাকলেও সেটি মাটি ও পুরাতন ইটের খোয়া দিয়ে রোলার করা হয়েছে। যেগুলি ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলিও পুরাতন ইট দিয়ে। এ ড্রেনগুলি নির্মাণ করা হয়েছে এক কড়াই সিমেন্টের সাথে ৭/৮ কড়াই বালু মিশ্রণ করে। ড্রেনের ওপর স্লাবগুলিও তৈরি করা হয়েছে একই নিয়মে। সম্প্রতি শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কটি সংস্কার কাজ চলছে। সারা বছর এ সড়কের জলাবদ্ধতা নিরসনে ১নং ইটের খোয়া দিয়ে পূর্বের রাস্তার চেয়ে ১ থেকে দেড় ফিট উঁচু করার কথা থাকলেও কিন্তু সেটি করা হচ্ছে না। পূর্বের রাস্তার চেয়ে মাত্র ৬ ইঞ্চি মাটি ও পুরাতন ইটের  খোয়া মিলিয়ে রোলার করা হচ্ছে। যা করা হচ্ছে পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের সামনেই।
মোজাম্মেল হোসেন চৌধুরীসহ শহরবাসী বলছেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ঠিকাদারের গোপন আঁতাত রয়েছে বলেই বরাদ্দকৃত অর্থের অর্ধেকই পকেটস্থ হচ্ছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন প্রতিশ্র“তির প্রতি ল রেখে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক শহর উন্নয়নে এ বরাদ্দ দেয়ায় দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে করা হচ্ছে সৈয়দপুরের উন্নয়ন। বর্তমান সরকারের প্রতিশ্র“তি মোতাবেক উন্নয়নের স্বার্থে যদি সঠিক তদন্ত করা হয় তাহলে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের দেয়া ১০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের দুর্নীতি ও অনিয়ম বেরিয়ে পড়বে বলে তারা মন্তব্য করেন।
সংস্কার করা কাজ নিয়ে কথা হয় ঠিকাদার মাহবুব আলমের সাথে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের দেয়া অর্থের সংস্কার কাজে যদি দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েই থাকে তাহলে সেটি সংশ্লিষ্টরা দেখবেন। জনসাধারণ বা সাংবাদিকদের সেটি দেখার বিষয় নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8411921779818936510

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item