বৃহত্তর রংপুরের পাঁচ জেলায় পাঁচ হাজার ৬৬৬ রাজাকারের তালিকা চুড়ান্ত

হাজী মারুফ রংপুর ব্যুরো অফিসঃ

বৃহত্তর রংপুরের পাঁচ জেলায় পাঁচ হাজার ৬৬৬ রাজাকারের তালিকা চুড়ান্ত হয়েছে। এ তালিকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মাধ্যমে বিভাগীয় প্রশাসনের কার্যালয়ে রয়েছে পরবতী নির্দেশের অপেক্ষায়। এদিকে রাজাকারদের তালিকা জনস্মুখে প্রকাশ করে তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন বিভিন্ন মহল।
রংপুর জেলা মুক্তিযোদ্বা সংসদ ও জেলা প্রশাসন সুত্রে জানাগেছে, রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা জেলার রাজাকারের তালিকা চুড়ান্ত হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এ তালিকা প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের কাছে হতান্তর করা হবে। তবে জেলা কমান্ড থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চুড়ান্ত তালিকা থেকে কোন রাজাকারের তালিকা বাদ পড়লে পরে তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। স্ত্রুমতে, রংপুরের আট উপজেলায় এক হাজার ১৫ রাজাকারের তালিকা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে বদরগঞ্জে ৩০৫ জন, সদরে ১৮৪ জন, কাউনিয়ার ৭৯ জন, মিঠাপুকুরে ১৩৪ জন, পীরগঞ্জে ১৫০ জন,  গঙ্গাচড়ায় ৩৩ জন, পীরগাছায় ১২৯ জন রয়েছে। নীলফামারী জেলায় রাজাকারের সংখ্যা এক হাজার ৪৯৩ জন। সদরে ৩২৯ জন, জলঢাকায় ৩১২, কিশোরগঞ্জে ১৫১, ডোমারে ২৫৯ জন, ডিমলায় ২৩৯ জন ও সৈয়দপুরে ২৩৩ জন রয়েছে। লালমনিহাট জেলায় ৬৮১ রাজাকারের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ৩২৫ জন, কালীগঞ্জে ২৫৪ জন, হাতীবান্ধায় ১০২ জন রয়েছে। কুড়িগ্রামে ৯ উপজেলায় ৪টিতে এক হাজার ৪২২ রাজাকারের তালিকাভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম সদরে ৩৭৯ জন, উলিপুরে ৩৫২ জন, চিলমারীতে ২৮৭ নাগেশ্বরীতে ৪০৪ জন। গাইবান্ধায় সাত উপজেলায় এক হাজার ৫৫ রাজাকারের তালিকা করা হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ৮৮ জন সুন্দরগঞ্জে ৭০ জন, সাদুল্লাপুরে ২১১ জন জন, পলাশবাড়ীতে ১৫২ জন গোবিন্দগঞ্জে ৩০০, সাঘাটায় ৬৩ জন, পলাশবাড়ীতে ১৫২ জন, ফুলছড়িতে ১৭১ জন।
দু-একটি উপজেলায় তালিকা চুড়ান্ত হয়নি। তবে দ্রুত সেসব উপজেলায় তালিকা প্রস্তুত করে জেলা প্রশাশকের কার্যালয়ে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সুত্র জানিয়েছে। রংপুর মহানগর মুক্তিযোদ্বা সংসদের কমান্ডার ও রংপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি সদরুল ইসলাম দুলু বলেন, সরকারের উচিত অতিদ্রু এ তালিকা জনসম্মূখে প্রকাশ করা। যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বিচারের দাবী জানান। রংপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু জানান, বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশনস প্রকাশিত এএসএম সামসুল আরেফিনের গ্রন্থনা ও সম্পাদনায় বৃহত্তর রংপুরের রাজাকারের তালিকা গ্রন্থে অনুসরণ ও যাচাই করে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় প্রতিটি রাজাকারের তথ্যই সঠিক।
এ প্রসঙ্গে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) তানিমা তাসমিন জানান, রাজাকারের তালিকা চুড়ান্ত করা হয়ছে। এতালিকা আমরা বিভাগীয় প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দিয়েছি। সেখান থেকেই সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপর দিকে রংপুর জেলা আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমিটির নেতৃবৃন্দ অতিদ্রুত তালিকা প্রকাশ ও অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 5447911906428671556

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item