ভিশন ২০২১ অনুষ্ঠানে শিশুদের সংস্কৃতিমন্ত্রী যা বললেন

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী  ২৪ ডিসেম্বর॥
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই, যে দেশে ধর্মের নামে কোনো হানাহানি হবে না, সেখানে  শিশুরা তাদের মেধা শক্তি দিয়ে নিজেদের মতো  বড় হবে। সেই সাথে থাকবেনা ধর্মের নামে কোনো মানুষ হত্যা। যে দেশে শান্তিপূর্ণভাবে সকল ধর্মের মানুষ বসবাস করবে, সবাই লেখাপড়া করবে, সবাই উন্নত সুন্দর জীবনযাপন করবে। সেখানে শুধু আর্থিক স্বচ্ছলতার জীবন নয়,সেখানে নাটক থাকবে কবিতা থাকবে, খেলাধুলা থাকবে যে যার ধর্ম সুন্দরভাবে পালন করবে। সব মিলে আমরা একটা চমৎকার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। এই বাংলাদেশে নতুন প্রজন্মের শিশুরা আগামী দিনের সৈনিক হিসাবে গড়ে উঠবে।  বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত  নীলফামারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্তরে ”ভিষন ২০২১”এর উদ্যোগে ছড়া ও কবিতা লিখন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ভিষন ২০২১ নীলফামারীর প্রধান সমন্বয়ক মো. ওয়াদুদ রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক ছড়াকার নূর মোহাম্মদ তালুকদার,  প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক, প্রথম আলোর প্রথমা প্রকাশক এর পা-ুলিপি সম্পাদক আখতার হুসেন, জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি ম-লীর সদস্য আসলাম সানী, বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর প্রকাশনা বিভাগের কর্মসুচি কর্মকর্তা (প্রোগ্রাম অফিসার) সুজন বড়–য়া, নীলফামারী পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহম্মেদ, জেলা পরিষদের প্রশাসক মমতাজুল হক প্রমুখ।
পড়ে সেখানে ভিষন ২০২১ নীলফামারীর সংগৃহিত কবিতা থেকে বাছাই করা ১৯৮ খানা কবিতা সম্বলিত ”আমার দেশ আমার মাটি” নামের কবিতা বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করেন অতিথিরা। শেষে সেখানে এক মনোঞ্জ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
কথা সাহিত্যিক অনিসুল হক বলেন, নীলফামারীর কথা আমি গৌরবের সঙ্গে সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে প্রচার করতে পারবো, সেই পত্রিকার নাম কিশোর আলো। সেই পত্রিকায় আমি লিখতে চাই, পৃথিবীতে একটা শহর আছে, সে শহরে একটা কবিতা লেখার প্রতিযোগিতায় ১৬ হাজার ছেলে মেয়ে অংশগ্রহন করেছে। আমার ধারণা এটা একটা বিশ্ব রেকর্ড, আর এই বিশ্ব রেকর্ডের আমি স্বাক্ষী, আর সেটা ঘটলো নীলফামারীতে। আর এটা কেনই বা ঘটবে না? কারণ আমি নীলফামারীতে জন্মগ্রহন করেছি। 
ভিষন ২০২১ নীলফামারীর প্রধান সমন্বয়ক ওয়াদুদ রহমান বলেন, এই আযোজনে নীলফামারী জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার প্রথম থেকে ১০ শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১৬ হাজার কবিতা জমা পড়ে। সেখান থেকে এক হাজার ছয়শত কবিতা বাছাই করা হয়। যার মধ্যে ১৯৮ খানা কবিতা দিয়ে বই প্রকাশ করা হয়। এবং ওই ১৯৮জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়।
শহীদ মিনার চত্তরে বিকেল তিনটার দিকে অনুষ্ঠান শুরু হলেও দুপুর দুইটার আগেই  প্রায় ১০ হাজার ধারণ ক্ষমতার ওই শহীদ মিনার চত্তর নারী পুরুষ শিশুদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় ভরে যায়।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 3366699250574078015

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item