কিশোরগঞ্জে বজরাং দল নামে সক্রিয় ভূমিদস্যু চক্র

বিশেষ প্রতিনিধি॥
নীলফামারী কিশোরীগঞ্জ উপজেলায়  বজরাং বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকার সাধারন কৃষকরা।এ বাহিনীর প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে দুলাল সহ আরো পাঁচ জনের নামে বিভিন্নস্থানে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী।এছাড়াও এ বাহিনীর প্রধানের নামে জমি দখল প্রতারণা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে আগুন দেওয়া সহ একাধিক মামলা রয়েছে নীলফামারী আদালত ও রংপুরের কোতোয়ালী থানায়।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে,নর্থ পোল্ট্রি লিমিটেড নামে একটি কোম্পানী খামার করার জন্য চাঁদখানা ইউনিয়নে জমি ক্রয় করবে ৫০ একর ।ইতিমধ্যে ১৩ একর জমির কবলা দলিল সম্পন্ন হয়েছে নানা ছল ছাতুরী  ও জাল দলিলের মাধ্যমে।এখানকার মধ্যবিত্ত কৃষকরা তাদের একমাত্র অবলম্বন তিন ফসলা জমি বিক্রি করতে না চাইলেও বজরাং বাহিনীর প্রধান মিজানুর রহমান দুলাল সহ তার বাহিনীর সদস্য ওই ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক ও সাধারণ সম্পাদক করুনা কান্ত রায়,লাভলু ,বসুনিয়া ,ছলেমান মিয়া সহ আরো অনেকে কৃষকদের জমির কৃত্রিম ওয়ারিশ তৈরী করে জাল কবলা দলিল তৈরী করে নিচ্ছে।যেখানে কৃত্রিম ওয়ারিশ তৈরী করতে পারছে না সেখানে জমির নকল মালিক সাজিয়ে জাল কবলা দলিল দিয়ে জমি লিখে নিচ্ছে।
সম্প্রতি ওই গ্রামের পাতানী বেওয়া (৬৫) ৭০ শতাংশ জমি যার দাগ নম্বর ৬৮৩৫,খতিয়ান নম্বর ১২১০ সুপিয়া বেগম নামে এক মহিলাকে নকল জমির মালিক সাজিয়ে কবলা দলিল করে।এছাড়াও সহিদুল ইসল মের  ২০ শতাংশ জমি যার জে.এল. নম্বর ২৬,এস.এ. খতিয়ান নম্বর ৩৭৯,বি.এস. খতিয়ান নম্বর ৯০১,দাগ নম্বর ৬৮০১,হাল দাগ নম্বর ১৫১৫৩ পেনকাটু বর্মন নামে এক ব্যক্তিকে নকল জমির মালিক সাজিয়ে জাল কবলা  দলিলের মাধ্যমে লিখে নেয়।এরকম ভুক্তভোগী আব্দুর রশিদ ,আলম হোসেন,মোসলেম উদ্দিন,মকবুল হোসেন,জসিম উদ্দিন,সেরাজুল ও আজিজুল সহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন।এসব ব্যক্তির অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেন ওই সময় উপস্থিত মিজানুর রহমান দুলালের আপন মামা ও চাঁদখানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী।
এদিকে বজরাং বাহিনীর প্রধান মিজানুর রহমান দুলাল জমি বিক্রি করতে না চাইলে দক্ষিণ বাহাগিলি গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের বাসুদেবের বাড়ি আগুন দিয়ে জালিয়ে দেয়।এ ঘটনায় বাসুদেবের স্ত্রী বাদী হয়ে মিজানুর রহমান দুলালকে আসামী করে  ২০১৪ সালে নীলফামারী কোটে একটি মামলা করে।একই বছর ১৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা প্রতারণার দায়ে রংপুরের জনৈক সালেহ উদ্দিন আহম্মেদ প্রতারক মিজানুর রহমান দুলালকে আসামী করে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা করে।এছাড়াও নীলফামারী ৪ আসনের সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরীর ভায়রাভাই আনোয়ার হোসেন বাহিনী প্রধানের নামে ১০ লাখ টাকার চেক জালিয়াতির মামলা করে নীলফামারী সৈয়দপুর কিশোরীগঞ্জ কোর্টে।অত্যাচারের স্বীকার আব্দুল গণি ও আব্দুল মজিদ জানায়,আমরা গ্রামবাসী এই বাহিনীর সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,ও নীলফামারী র‌্যাব-১৩ কমান্ডার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
কিশোরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান বলেন,এসব ঘটনা জানার পর আমি সরেজমিনে গিয়েছিলাম।এলাকার লোকদের সাথে কথা বলে এসেছি।তাদের সচেতন হতে বলেছি।এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন,আমার কাছে লিখিত অভিযোগ এসেছে,আমি বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 1818369607767740682

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item