জলঢাকায় বিএনপি জামায়াতের দুই প্রার্থী কাঁদা ছুড়াছুড়ি করে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

মর্তুজা ইসলাম, জলঢাকা, (নীলফামারী) প্রতিনিধি ঃ

নীলফামারীর জলঢাকা  পৌর সভায় বিএনপি জামায়াতের দুই প্রার্থী মধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে বিস্তর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। গত মঙ্গলবার বিকেলে ওই দুই মেয়র প্রার্থীর সাথে কথা হলে দুজনেই এক অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেন। ওই পৌর সভার নির্বাচনে মেয়র পদে ২০ দলীয় জোটের প্রধান শরীক বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন  উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট। অপরদিকে দলীয় নির্বাচনের যোগ্যতা হারিয়ে দলের সিদ্ধান্তে সেখানে মেয়র পদে নির্বাচনের প্রার্থী  হয়েছেন ওই জোটের অন্যতম শরীক পৌর জামায়াতের আমীর মকবুল হোসেন।বিগত নির্বাচনগুলোতে দীর্ঘ রাজনীতির ঐক্যতায় তারা মাঠে কাজ করেছেন একসাথে। তাদের দুজনের বাড়িও পৌর এলাকার একই গ্রাম পশ্চিম বগুলাগাড়িতে। কিন্তু এবারের পৌর নির্বাচনে দীর্ঘ দিনের সেই ঐক্যতার ফাটল ধরেছে ওই দুই রাজনৈতিক শরীকের মধ্যে। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে তুলছেন বিস্তর অভিযোগ। এমনকি নির্বাচনী মাঠে তারা একে অপরকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছেন এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। ওই পৌর সভায় নির্বাচনে মেয়র পদের প্রার্থী পৌর জামায়াতের আমীর মকবুল হোসেন বিএনপির প্রার্থী ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন,‘ধানের শীষের লোকজন আমার নির্বাচনী প্রধারণায় বাধা দিচ্ছে। গত রবিবার তারা পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডে পশ্চিম বগুলাগাড়ি গ্রামে প্রচারণায় বাধা দেয়। আমাকেসহ আমার লোকজনকে জানায়, এখানে ভোট চাইতে পারবেন না। আপনি কাজীর হাট এলাকায় গিয়ে ভোট চান। এরপর আমিসহ আমার ৩০/৪০ জন লোকজন সেখান থেকে চলে আসি। এরপর তারা গত সোমবার একই গ্রামের চার নম্বর ওয়ার্ডে আমার একটি মহিলা দল প্রচারণায় গেলে তাদেরকে প্রচারণার কাজে বাধা দিয়ে বের করে দেয় ওই  গ্রাম থেকে। আমি তাদের এমন কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এবিষয়ে রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন কী না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেনের উপস্থিতিতে নির্বাচনী মত বিনিময় সভায় আমি বিষয়টি উত্থাপন করেছি।’ তিনি বলেন, ‘আমার বিজয় নিশ্চিত। সেটি ঠেকাতে তারা এমন বাধা সৃষ্টি করছেন।’
অপরদিকে বিএনপির  প্রার্থী ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,‘জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল হোসেন নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছেন। তিনি বলে বেড়াচ্ছেন বিএনপির প্রার্থী ধানের শীষের কোন ভোট নেই। ধানের শীষে কেউ ভোট দিবেন না। দাড়ি পাল্লার বিপরীতে জগ প্রতীক কাজ করছে। ধানের শীষের ভোটারদেরকে জগ প্রতীকে ভোট দিতে হবে। এটিতো জোটগত নির্বাচন নয়, সেখানে জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী এমন অপপ্রচার কেন চালাবেন ? আর তারা (জামায়াত প্রার্থী)  ৩০/ ৪০ জন  লোক একত্রে  গ্রামে নির্বাচনী  প্রচারণায় নেমে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছেন।’
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী বলেন,‘ওই দুই প্রার্থীর পে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের কোন অভিযোগ নেই।’ আচরণ বিধিতে একসাথে ৫ জনের বেশী নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন না বলে জানান তিনি।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 3964958030756515318

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item