ডোমারে হানাদার মুক্ত দিবসের তথ্য তুলে ধরে তিন মুক্তিযোদ্ধা সংবাদ সম্মেলন।
https://www.obolokon24.com/2015/12/domar_93.html
আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি ঃ
নীলফামারীর ডোমারে হানাদার মুক্ত দিবসের প্রকৃত তথ্য তুলে ধরে এক মুক্তিযোদ্ধা সংবাদ সম্মেলন করেছে।
রবিবার বিকেলে যুদ্ধকালীন সময়ের মুক্তিযোদ্ধার গ্র“প কমান্ডার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আমিনুর রহমান তার নিজ বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অপর দুই বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ ববিন ও জুলফিকার আলী।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,৭১এর ৭ডিসেম্বর আমরা ভারতের হলদিবাড়ী হয়ে বাংলাদেশের সবজিগঞ্জ দিয়ে চিলাহাটিতে প্রবেশ করি। সেখান থেকে ৭ডিসেম্বর মিরজাগঞ্জ রেল-ষ্টেশনে রাত্রী যাপনের সময়ে ওই রাতে আমাদের ৯ জন মুক্তিযোদ্ধা পাকিস্তানী খান সেনাদের হাতে আটক হয়। পরদিন তাদের পায়ে রশি লাগিয়ে জীপগাড়ীর পিছনে বেঁধে টেনে হিচড়ে ডোমার বাজার ঘোরায় এতে মুক্তিযোদ্ধাদের করুন মৃত্যু হয়। তাদের মরদেহ বর্তমান বোড়াগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের উত্তর পাশে পুতে রাখে। ৯ ও ১০ ডিসেম্বর দিনরাত সমানে চলে খানসেনাদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মূখ গোলাগুলি। ১০ ডিসেম্বর রাতে খানসেনারা বোড়াগাড়ী ব্রীজ বোমা মেরে উড়িয়ে দেয় এবং সে রাতেই খানসেনারা ডোমার থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় তাদের কয়েক সেনা সদস্য ক্যাম্পে ছাড়া পরে তাদের মুক্তিকামী জনতা ধরে ফেলে হত্যা করে। ১১ডিসেম্বর সকালে স্থানীয় ডাকবাংলোয় জড়ো হতে থাকে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী জনতা। সেখানে ৬নং সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার ফাইট লেঃ ইকবাল রশীদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন এবং ডোমারকে হানাদার মুক্ত ঘোষনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো তিনি বলেন ডোমারের ৩৩ জন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার নাম এবং ভুয়া শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারী ও মকবুল হোসেনের নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়ার দাবী জানান।
উল্লেখ্য যে,আওয়ামীলীগ সরকার মতায় আসার পর থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ ও ডোমার মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের উদ্দোগে প্রকৃত তথ্য গোপন করে ৬ ডিসেম্বর ডোমার হানাদার মুক্ত দিবস পালন করে আসছে। এরই প্রতিবাদে জাতির কাছে ডোমারের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।