থানা থেকে ছাড়া পেল ডিমলার ছাত্রলীগ কর্মী মধু

বিশেষ প্রতিনিধি॥
পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদাদাবি করে না পেয়ে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসক ও তার স্বামীকে অপহরনের হুমকী দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই চিকিৎসক ডিমলা থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছে( নম্বর ২১০)। এতে অভিযোগ আনা হয়েছে ডিমলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক উত্তম কুমার রায়ের ছোট ভাই ছাত্রলীগকর্মী মধু চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসী জানায় এ ঘটনার সুত্র ধরে ডিমলা থানার ওসি নিজেই শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ডিমলা হাসপাতাল চত্বর থেকে ছাত্রলীগ কর্মী মধু চন্দ্র রায়কে আটক করে  থানায় নিয়ে আসে। এরপর বেলা সাড়ে তিনটায় আটক ছাত্রলীগ কর্মী মধুকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে অন্যান্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ডিমলা থানা ঘেরাও করে। এরপর আটক মধুকে থানা থেকে মুক্ত করে নিয়ে যায়। এ ঘটনাটি গোটা ডিমলা উপজেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। এ সময় সাধারন মানুষজনকে মন্তব্য করতে শোনা যায় ছাত্রলীগ কর্মী বলে কথা। ওদের সব দোষ সাতখুন মাফ হয়ে যায়। আর পুলিশও হয়ে পড়ে অসহায়।
তবে ডিমলা থানার ওসি রুহুল আমীন খান বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকদের বলেছেন ওই চিকিৎসক ও তার স্বামীর সাথে মধু চন্দ্র রায়ের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এ কারনে তারা থানায় ডায়েরী করে। বিষয়টি মধুর বড় ভাই উত্তমকে  জানালে উত্তম নিজেই মধুকে  শাসন করে থানায় নিয়ে এসেছিল। এরপর মধুকে শাসন করে উত্তমের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
মধু চন্দ্র রায়ের এহেন কর্মকান্ডে ডিমলা হাসপাতালের সকল চিকিৎসকরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচার দাবি করেছে। তারা যে কোন সময় কর্মবিরতির মতো আন্দোলনে যেতে পারে।
ডিমলা শহরের একাধিক ব্যাক্তি অভিযোগ করে জানায় ডিমলা হাসপাতাল চত্বরে মধুর অত্যাচারে সাধারন মানুষজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। রিতিমত মাদকাসক্ত মধু মাদকের টাকা জোগাড়ে বিভিন্নজনকে ভয় ভিতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করে থাকে।
মধু ডিমলা উপজেলার আগুন খাওয়া বাহিনীর একজন সদস্য বলে বিভিন্নজন অভিযোগ করেন। সে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব বিস্তার করে ডিমলা দাপিয়ে বেড়ায়। প্রকাশ্যে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে থাকে। ডাইল বা গাঁজায় তার সারাদিন অতিবাহিত হয়। ডিমলা হাসপাতাল চত্বর মধুর ত্রাসে ত্রাহী অবস্থা।
জানা যায়, ডিমলা উপজেলা হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসাবে কর্মরত রয়েছেন ডাঃ ইয়াসমীন। ওই চিকিৎসক ও তার স্বামীকে ডিমলা সদর ইউনিয়নের অমল চন্দ্র রায়ের ছেলে ও ডিমলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক উত্তম কুমার রায়ের ছোট ভাই বখাটে মধু চন্দ্র রায় ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে চাঁদা না পেয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ, অসাদাচরন সহ অপহরনের হুমকি দেয়।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7050569615266510225

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item