চিলাহাটি ও হলদীবাড়ী রেলপথটি পরিদর্শন করলেন রেলওয়ের অতিরিক্ত সচিব

এ,আই পলাশঃ

১১ ডিসেম্বর ২০১৫ইং সকাল ১০ টায়  চিলাহাটি ও হলদীবাড়ী রেলপথটি পরিদর্শন করলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত সচিব শশী কুমার সিংহ।এসময় বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের অতিরিক্ক প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসেন মাসুদ সহ রেলওয়ের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন।রেলওয়ের  এক সূত্রে জানা গেছে চিলাহাটি ও হলদিবাড়ীর মধ্যে ১১.৩৪ কিলোমিটার রেলপথ এর মধ্যে বাংলাদেশের সীমানায় ৮.১০ কিলোমিটার ও ভারতীয় সীমানায় ৩.২৪ কিলোমিটার পুনরায় স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য রেলওয়ের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের এই পরিদর্শন।
উল্লেখ্য যে, ১৯৬৫ সালে পাক ভারত যুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত ভারতের কোলকাতার দর্শনা,  জলপাইগুড়ী জেলার হলদিবাড়ী ও বাংলাদেশের উত্তারাঞ্চলের চিলাহাটি পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করত। তাছাড়া এই পথে উভয় দেশের লোকজন পাসপোর্ট ভিসার মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশ যাতায়াত করত। ১৯৬৫ সালের পর সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলের রেলপথ তুলে ফেলা হয়। বর্তমানে সীমান্তের জিরো (০) পয়েন্ট পর্যন্ত দুই দেশেরই রেলপথ ও সড়ক পথ বিদ্যমান। কিন্তু দেশ স্বাধীনের পর থেকে রেল পথ বন্ধ হলেও চিলাহাটি চেকপোস্টটি চালু থাকায় দুই দেশেরই শত শত যাত্রী বৈধভাবে যাওয়া আসা করত এর মূল কারণ ছিল, চিলাহাটি থেকে ভারতের হলদিবাড়ী গেলেই অতিসহজেই জলপাইগুড়ী,  কুচবিহার, দারজিলিং, নেপাল ও ভুটানে যাওয়া যেত। কিন্তু ভারতীয় কর্তৃপক্ষের একতরফা সীদ্ধান্তের কারণে ২০০২ ইং সালের ২৮ শে জুন চিলাহাটি চেকপোস্টটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। আজও সেই চেকপোস্টটির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। অপর এক সূত্রে জানা গেছে চিলাহাটি ও হলদিবাড়ীর মধ্যে ১১.৩৪ কিলোমিটার রেলপথ পুনরায় স্থাপনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে এর মধ্যে বাংলাদেশের সীমানায় ৮.১০ কিলোমিটার ও ভারতীয় সীমানায় ৩.২৪ কিলোমিটার এই রেলপথ পূণঃস্থাপিত হলে শুধু যাত্রীদেরই দুর্ভোগ লাঘব হবে না, বরং এই পথে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা কম খরচে ও কম সময়ের মধ্যে মালামাল আমদানী ও রপতানী করতে পারবে। ফলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রচুর মুনাফা লাভ করবে। ২০১২ ইং সালের নভেম্বর মাসে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের মাননীয় নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহ্জাহান খান চিলাহাটি সরকারী কলেজ মাঠে এক জনসভায় চিলাহাটি স্থলবন্দর, রেলপথ ও চেকপোস্টটি উদ্ভোদন করে গেলেও অদ্যবধি তা চালু হয়নি। এমনকি ভারত এবং বাংলাদেশের শেষ সীমানায় স্থলবন্দরের জন্য ১১ একর জমি ক্রোক করলেও অদ্যবধি সেই স্থলন্দর ও চেকপোস্টটির ফাইলটি লাল ফিতায়  বন্দী অবস্থায় পড়ে আছে। অবশেষে জেলার সচেতন ব্যাক্তি ও ব্যাবসায়ীদের উদ্দ্যোগে চিলাহাটি স্থলবন্দর, রেলপথ বাস্তবায়ন ও চেকপোস্ট চালুর দাবীতে তারা আন্দোলনে মুখরিত হয়ে ওঠার কারণে গত ১১ ডিসেম্বর ২০১৫ইং সকাল ১০ টার দিকে চিলাহাটি ও হলদীবাড়ী রেলপথটি পরিদর্শন করলেন রেল বিভাগের সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা ও রেলের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে আওয়ামীলীগের প্রথম সারীর নেতারা বলছেন এই মুহূর্তে  চিলাহাটি রেলপথ, স্থলবন্দর ও চেকপোস্টের মাধ্যমে পাসপোর্ট ধারী যাত্রীদের ভারতে যাওয়ার কার্যক্রম চালু করা হলে উত্তরাঞ্চলের যে কয়েকটি জেলা রয়েছে সেই জেলার মানুষ গুলো বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারকে কৃতজ্ঞতা জানাবে।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 1172480752824359963

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item