দহগ্রামে ভিডিও কনফারেন্সে থ্রীজি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিশেষ প্রতিনিধি॥

তিনবিঘা করিডোরের সেই আলোচিত দহগ্রাম আঙ্গপোতা এলাকায় মোবাইলের থ্রী-জি চালু করা হয়েছে।  ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মাধ্যমে এই কার্য্যক্রমের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার(২৫নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ উপলক্ষে সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিকোমিনিকেশন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম গ্রামীন ফোনের করপোরেট এফেয়ারর্স মাহমুদ হোসাইন  লালমনিরহাট ১ আসনের সাংসদ মোতাহার হোসেন, সংরক্ষিত সাংসদ এ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমী, লালমনিরহাট পুলিশ সুপার টিএম মোজাহেদুল ইসলাম,পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল, ইউএনও নুর কুতুবুল আলম,দহগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

থ্রীজি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন  উন্নত দেশ গুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে  প্রযুক্তিতে বাংলাদেশও এগিয়ে যাচ্ছে। এ ভাবেই অসাধ্যকে সাধন করে চলেছে বাংলাদেশীরা।

শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় মোবাইল ফোন শহরে ব্যায়বহুল ভাবে শুধুমাত্র শহরে ব্যবহার হত। বর্তমানে আমরা অল্প খরচে শহর হতে গ্রাঞ্চলে ছড়িয়ে দিয়েছি মোবাইলের ব্যবহার। আজ আমরা থ্রীজিতে চলে গেছি।  দহগ্রামে থ্রীজি সংযোগ দেয়ায় নেটওয়ার্ক কো¤পানীগুলোকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় লালমনিরহাট ছিল মঙ্গা পিড়িত অঞ্চল। আওয়ামী লীগ সরকারই সর্ব প্রথম লালমনিরহাটে ভুট্টা চাষের সফলা এনে নিয়ে মঙ্গার চিত্র পাল্টিয়ে দিয়েছে। শুধু লালমনিরহাট নয় উত্তরবঙ্গ থেকে মঙ্গা দুর করা হয়েছে।

ভিডিও কনভারেন্সে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেকারদের দক্ষকর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে প্রশিক্ষন কেন্দ্র গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। যাতে বেকার যুবক-যুবতীরা প্রশিক্ষন নিয়ে নিজেদের স্বালম্বী করতে পারে। সেই সাথে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন দিয়ে বেকারদের বিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে সরকার। এ ভাবেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, এখন আর টাকা খরচ করে ঢাকায় যেতে হচ্ছে না, ঘরে বসেই দেশের মানুষ শিক্ষা,স্বাস্থ্য, কৃষিসহ সকল বিষয়ে তথ্য পাচ্ছে ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রে। ডাকঘরগুলোতে তথ্যসেবা কেন্দ্রে স্থাপনের কাজ চলছে। এতে দেশের মানুষ ঘরে বসে সকল তথ্যসহ কেনা-কাটার করতে পারবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের দোড়গড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌছাতে কমিউনিটি ক্লিনিক করা হয়েছে। এ ছাড়াও উপজেলা ও জেলা সদর হাসপাতালগুলোকে ৩০ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় এবং ৫০ শয্যার হাসপাতালে ১০০টি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সাথে মেডিকেল কলেজও বাড়ানো হয়েছে।ভিডিও কনভারেন্সে দহগ্রামবাসীর আমন্ত্রন গ্রহন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লালমনিরহাটে অনেক গিয়েছি, এ বছর কুড়িগ্রামে সফর করেছি। আগামীতে লালমনিরহাটের দহগ্রামে আসব। অবশ্যই আসব।