চিলাহাটি-হলদীবাড়ী অস্থায়ী সীমান্ত দিয়ে ৩য় দফায় ১৫২ জনের ভারত গমন

এ.আই পলাশঃ
পরীক্ষা চলছে, প্রথম পরীক্ষা দিয়েছি। চলে যাব জন্য বাকী পরীক্ষাগুলো দিতে পারলাম না।  আমার খুব খারাপ লাগছে।  দু দেশের সরকারের প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ  আমারা যারা শিক্ষার্থী আছি তারা যেন ভারতে গিয়ে যে যে শ্রেণীতে ছিলাম সেটাতেই যেন ভর্তি করে নেওয়া হয়।  এমনি মন্তব্য করেন পঞ্চগড় জেলাধীন দেবীগঞ্জ উপজেলার ১নং দহলা খাগড়াবাড়ীর হলহলিয়া সরকার পাড়ার বাসিন্দা সুশেন চন্দ্র রায়-এর ছেলে নীলফামারী সরকারী কলেজের ডিগ্রী প্রথম বর্ষের ছাত্র শান্ত রায়। তিনি এই প্রতিবেদককে আরো বলেন, আমরা ৬ সদস্যের পরিবার ভারতে যাচ্ছি। আমরা চার ভাই বোনই পড়াশুনা করছি। আমার সংশয় হচ্ছে সেদেশে গিয়ে আমরা আবার লেখাপড়া করতে পারবো কিনা?
অবলুপ্ত ছিট মহলগুলোর আগ্রহী নাগরিকদের ভারতে যাওয়ার তৃতীয় দফার প্রক্রিয়া শেষ করে ভারতের প্রশাসনের নিকট হস্তান্তর করে বাংলাদেশীয় নীলফামারী জেলা প্রশাসন। এতে উপস্থিত থাকেন বাংলাদেশীয় প্রশাসনের ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা সুলতানা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আ. রাজ্জাক বসুনিয়া, দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম, ডোমার থানা ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেন, রাজস্ব কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন মিস্ত্রি, সুজন, চিলাহাটি আইসি থানা ইনচার্জ মনসুর আলী, ভোগডাবুড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু তাহের, ৫৬ বিজিবি’র চিলাহাটি কোম্পানী কমান্ডার  আব্দুল হামিদ। ভারতের পক্ষে উক্ত নাগরিকদেরকে গ্রহণ করেন এসডিএম রঞ্জন ঝাঁ, হলদীবাড়ী থানা বিডিও তাপস সিংগ রায়, হলদীবাড়ী থানা আইসি বিকাশ কান্তি দে, এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ফাষ্ট সেক্রেটারি রামাকান্ত গুপ্তা। তাদেরকে ডোমার উপজেলার চিলাহাটি-হলদীবাড়ী অস্থায়ী চেকপোষ্ট দিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার ২৪ নভেম্বর দুপুর ১.৪০টায় পঞ্চগড় জেলাধীন দেবীগঞ্জ উপজেলার ১নং দহলা খাগড়াবাড়ী ছিটমহলের ৩০টি পরিবারের ১৫২জন সদস্য ভারতে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য ভারতের নাগরিকতা গ্রহণ করে সে দেশে গমন করে। এতে পুরুষ সদস্য ৭৬ জন,মহিলা সদস্য ৭৪ জন, নবজাতক শিশু ২জন। একটি নবজাতক কন্যা শিশুর বয়স ৩দিন অপরটির বয়স ২৮ দিন।  এতে তাদের বহনকারী ৪টি যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী ট্রাক ৬টি ভারতে প্রবেশ করে। এরপূর্বে সকাল ১০.৩০টায় তাদেরকে চিলাহাটির ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের আব্দুর রউফ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জড়ো করে পরিচয়পত্রসহ ডাটা-দস্তাবেজ পূরণ করে বাংলাদেশী প্রশাসন। নীলফামারী জেলা প্রসাশন ভারতীয় হলদীবাড়ী জেলা প্রসাশনের হাতে মালপত্রসহ তাদেরকে হস্তান্তর করে।
 পঞ্চগড় জেলাধীন অবলুপ্ত ৩৬টি ছিটমহলের মধ্যে ১১টি ছিটমহলের ৯৯টি পরিবারের ৪৮৭জন সদস্য ভারতে গমন করবে। অদ্যাবধি তিন দফায়  ৭৩টি পরিবারের শিশুসহ ৩৪৭ জন সদস্য স্থায়ীভাবে থাকার জন্য ভারতে গমন করে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 1726262189248100354

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item