সৈয়দপুরে রেলওয়ে ও কোয়ার্টার দখলের ধুম

মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

সৈয়দপুরে রেলওয়ের পতিত জমি ও কোয়ার্টার দখলে ধুম পড়েছে। দিন অথবা রাতে রেলওয়ের ওইসব জমি ও কোয়ার্টার দখল করে লাখ লাখ টাকায় বিক্রিসহ ইমারত ও দোকানপাট নির্মাণ কাজ চললেও রেল কর্মকর্তা তা দেখেও দেখছেন না। কারণ ঘুষ বাণিজ্য। সম্প্রতি এ অভিযোগ করেন সৈয়দপুরের সচেতন মহল।
অভিযোগে জানা যায়, ১৮৭০ সালে সৈয়দপুর শহরে রেলওয়ে কারখানাটি স্থাপনের সময় সেখানে কর্মকর্তা কর্মচারী ও শ্রমিকের সংখ্যা ছিল প্রায় ১০ হাজারের মত। কর্মরত ওইসব কর্মকর্তা কর্মচারী ও শ্রমিকদের জন্য প্রায় ৩ হাজার কোয়ার্টার ও ভবন গড়ে তোলা হয় শহরের সাহেবপাড়া, মিস্ত্রীপাড়া, মুন্সিপাড়া, ইসলামবাগ, রসুলপুর, পুরাতন বাবুপাড়া, গার্ডপাড়া, হাতিখানা, নিচু কলোনী, অফিসার্স কলোনীসহ বেশ কটি এলাকায়। ১৮৭০ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ওইসব কোয়ার্টার অথবা বাংলো দখল বিক্রয় না হলেও ১৯৯৭ সালে শ্রমিক কর্মচারীদের গোল্ডেন হ্যান্ডসেকের মাধ্যমে অবসর দেয়ার পরপরই শুরু হয় রেলওয়ে জমি, কোয়ার্টার ও ভবন দখল ও বিক্রয়। এভাবে এ পর্যন্ত প্রায় ২৮শ কোয়ার্টার দখল ও বিক্রয় হয়ে গেছে বলে জানা যায়। শুধুমাত্র রেলওয়ের কর্মকর্তাগণ ঘুষ বাণিজ্যে নিশ্চুপ থাকায় সম্প্রতি শহরের সাহেবপাড়া রেলওয়ে হাসপাতাল সংলগ্ন একটি দ্বিতল ভবনের দ্বিতীয় তলা দখলসহ ওই ভবন সংলগ্ন রেলওয়ের পতিত জমি দখলে নিয়ে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেন সাহাবুদ্দিন সাবু নামের এক মুরগি ব্যবসায়ী।
মুরগি ব্যবসায়ী সাহাবুদ্দিন সাবু বলেন, রেলওয়ের ওই পতিত জমিটি তিনি দখল করেননি। ওই এলাকার ইকবাল হোসেন গুড্ডু নামের এক ব্যক্তির কাছে নগদ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায় ক্রয় করেছেন। তাছাড়া টাকা থাকলে সব অসম্ভবই সম্ভব বলে জানান তিনি। এছাড়া শহরের ৮নং ওয়ার্ডের সবুজ সংঘ মাঠের পূর্ব-দণি কোণের একটি রেলওয়ে কোয়ার্টার ভেঙ্গে বিশাল মাপের ঘরবাড়ি নির্মাণ করে চলেছেন ভলুয়া নামের এক কাঠ মিস্ত্রী। তিনি রেলওয়ের কোন এক কর্মকর্তাদের মোটা অংকের ঘুষ দিয়েই ঘরবাড়ি নির্মাণের অনুমতি পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানায়, সৈয়দপুর শহরে এ যাবত যেসব পতিত সম্পত্তি কোয়ার্টার ও ভবন বেদখলে গেছে সেটির মূল্য প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি হবে। সৈয়দপুরের রেল বিভাগের যতগুলি সম্পত্তি রয়েছে সেগুলি যারা অবৈধভাবে দখল করে রয়েছেন সেগুলি যদি সঠিক মূল্যে বিক্রয় করা হয় তাহলে বিক্রিত সৈয়দপুর রেলওয়ের অর্থ দিয়েই পদ্মা সেতুর সম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ সম্ভব এবং অবৈধ দখলদাররাও পেত তাদের বসবাসের বৈধতা। এসব ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে রেলমন্ত্রীসহ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি প্রয়োজন বলে দাবি সচেতন মহলের।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 3983417935662857503

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item