কারণ দর্শানো নোটিশও উপেক্ষিত, পীরগঞ্জ কুতুবপুর মাদ্রাসায় প্রভাষক ও নৈশপ্রহরী নিয়োগে এলাকায় উত্তেজনা

হাজী মারুফ রংপুর ব্যুরো অফিস :

রংপুরের পীরগঞ্জ কুতুবপুর সদরা আমিনিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার সভাপতি ও অধ্যক্ষ’র বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি, প্রভাষক ও নৈশপ্রহরী নিয়োগে প্রার্থীদের কাছ থেকে প্রচুর অর্থ গ্রহণ, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতিসহ নানান অভিযোগ উঠেছে। মহিলা প্রার্থীদের বাদ দিয়ে পুরুষ প্রার্থীদের পরীক্ষায় সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সভাপতি ও অধ্যক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন আদালত। নোটিশ পাওয়ার পর তারা পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির (৩য়বার) ঘোষিত তারিখের পরীক্ষা স্থগিত করেছেন। ফলে তারা বিধি উপেক্ষা করে ওই দুইজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার সদরা আমিনিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসায় ২০১৪ সালের ২০ আগষ্টে ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রফিকুল ইসলাম অধ্যক্ষ নিযুক্ত হয়। এরপর মীর মোহাম্মদ আলী মানিক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হন। পরে তারা দু’জন মিলে দুর্নীতির মাধ্যমে আরবী শিক্ষকসহ নৈশপ্রহরী পদে লোক নিয়োগের জন্য পরপর তিনবার পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন। সর্বশেষ তারা অর্থের বিনিময়ে তাদের নিজস্ব প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা চালায়। শুধু পুরুষদের নিয়োগ দেওয়ার আশায় মহিলা প্রার্থীদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা করলে মহিলা প্রার্থীরা সভাপতি ও অধ্যক্ষকে বিবাদী করে আদালতের মাধ্যমে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। ফলে সেদিনের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। আদালতে আবেদনকারী মহিলারা হলেন-মোছাঃ ওয়াজেদা খাতুন, মোছাঃ হালিমা খাতুন ও মোছাঃ নুরুন নাহার।
এদিকে, সভাপতি ও অধ্যক্ষ নিয়োগ বিধি উপেক্ষা করে ডিজি প্রতিনিধিকে ভুল তথ্য দিয়ে ৫৮ বছর হওয়ার পরও তা ২৮ বছর দেখিয়ে নৈশপ্রহরী রইচ উদ্দিনকে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেন। আর আরবী প্রভাষক আব্দুল গফুরকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উপরোক্ত দু’টি নিয়োগই গত ৮ নভেম্বর দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বাড়ি মিঠাপুকুর, আর আমি সেই ব্যক্তি নই।
সভাপতি মীর মোহাম্মদ আলী মানিক বলেন, নিয়োগ সঠিকভাবে হয়েছে, আর আমি জাসদ করি বলে ২২ নভেম্বর সম্মেলনের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় কারো সাথে কথা বলার সময় নেই। তবে ডিজি’র প্রতিনিধি বেগম রোকেয়া কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ বলেন, নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। যেহেতু মামলা রয়েছে, তাহলে পরিপত্র অনুযায়ি নিয়োগ বাতিলেরও ক্ষমতা আমার রয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও অধ্যক্ষ মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে সঠিক ব্যাখা দিতে না পারলে নিয়োগ বাতিলসহ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আবার ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও অধ্যক্ষ’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। 

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 4496352134017288515

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item