তুচ্ছ ঘটনায় জলঢাকায় দুই হিন্দু পরিবারের ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট
https://www.obolokon24.com/2015/11/jaldhaka_29.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ॥
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই হিন্দু পরিবারের ঘরবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। আজ রবিবার প্রকাশ্য দিবালোকে বেলা ১১টায় এই ঘটনাটি ঘটে নীলফামারীর জলঢাকা পৌর এলাকার বগুলাগাড়ি মহল্লায়। এ ঘটনায় সেখানে চরম উত্তোজনা বিরাজ করছে। দুপুরে ঘটনার বিচারের দাবিতে এলাকার শতশত হিন্দু পরিবার জলঢাকার প্রধান সড়কটি ব্যারিকেট ও থানা ঘেরাও করেছে। এদিকে সড়ক ব্যারিকেটের কারনে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় ওই মহল্লায় তিস্তা সেচ ক্যানেলের ধারে গরুর ঘাস খাওয়ানোকে নিয়ে বৈষ্ণপাড়ার সুকুমার রায় ও তার স্ত্রী আনো বালার সাথে বাবুল্লাপাড়ার সাইদুল ও তার স্ত্রী শেরিনা বেগমের মধ্যে বচসা শুরু হয়। বচসার এক পর্যায় গরুর খুড়ের আঘাতে শেরিনা বেগমের মাথা ফেটে যায়। তাকে সুকুমার রায় ও তার স্ত্রী আনো বালা জলঢাকা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ তুচ্ছ ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে বগুড়াগাড়ী মহল্লার বাবুল্লাপাড়ার বিএনপি ও জামায়াতের কর্মী দুখু ও সাজুর নেতৃত্বে প্রায় তিন শতাধীক মানুষ লাঠিসোটা নিয়ে এসে বৈষ্ণপাড়ার সুকুমার রায় ও তার ছেলে শান্ত রায়ের বাড়িতে হামলা চালায়। বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা শান্ত রায়ের স্ত্রী অন্তসত্ত্বা গোলাপী রায়ের পেটে লাথি মারে। এরপর হামলাকারীরা সুকুমার রায় ও তার ছেলে শান্ত রায়ের বাড়ির সকল আসবাবপত্র, সেলাই মেশিন টিভি,নগদ অর্থ লুটপাট করে নিয়ে যায়। এদিকে হামলাকারীদের লাথির কারনে শান্ত রায়ের স্ত্রীর প্রচুর রক্তক্ষরনে তাকে প্রথমে জলঢাকা হাসপাতালে ওপরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিক করা হয়েছে।
জলঢাকা থানার ওসি(তদন্ত) মফিজ উদ্দিন জানান অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।