চতুর্থ দফায় চিলাহাটি সীমান্ত দিয়ে ভারতে গমন করেছে ১০৫ জন
https://www.obolokon24.com/2015/11/domar_78.html
আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি),স্টাফ রিপোর্টার ঃ
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি -হলদিবাড়ি অভিবাসন সীমান্ত দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকালে ভারত গমন করছে ২১ পরিবারের ১০৫ জন। এরা সকালে পঞ্চগড় জেলা দেবীগঞ্জ উপজেলার অভ্যান্তরে থাকা বিলুপ্ত ভারতীয় দুইটি ছিটমহলের বাসিন্দা ছিল। বিলুপ্ত ভারতীয় দুইটি ছিটমহল হলো দহলা খাগড়াবাড়ির। এই দলটি চতুর্থ দফায় আজ ভারত গমন করল। এর আগে এই সীমান্ত পথে গত ২২-২৩ ও ২৪ নবেম্বর তিন দফায় ভারত গমন করেছিল ৭২ পরিবারের ৩৪৭ জন সদস্য। দেবীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জানান আজ বৃহস্পতিবার ভারত গমনের কথা ছিল ২৩ পরিবারের ১০৮ জন সদস্যের । কিন্তু দুইটি পরিবারে ৫ সদস্য তাদের ভারত গমন বাতিল করেছে। ফলে ভারত গমন করেছে ২১ পরিবারের ১০৫ জন। এদের দেবীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে চারটি বাসে ও তাদের মালামাল ৪টি ট্রাকে করে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি ডাঙ্গাপাড়াস্থ আব্দুর রউফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে সকাল সোয়া ১০টায় নিয়ে আসা হয়েছে। এখানে ইমিগ্রেশন শেষ করেই তাদের ভারতীয় প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি জানান চতুর্থ দফায় যে সকল পরিবার ও সদস্য ভারত গমনে ব্যর্থ হয়েছে তারা রির্জাভ ডে হিসাবে বিশেষ সুবিধায় আগামী ৩০ নবেম্বর ভারত গমন করতে পারবে।
দেবীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জানান দুপুর দুইটায় সীমান্তে গিয়ে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের বনমন্ত্রী বিনয় কুমার ,বিডিও তাপস সিংহ রায় সহ কাষ্টমস অফিসার সন্দীপ ব্যানার্জী, বিএসএফের ৫৮ ব্যাটালিয়ানের অতিরিক্ত অধিনায়ক একে ঝাঁ, হলদিবাড়ি তদন্দ কেন্দ্র কর্মকর্তা বিকাশ কান্তি দে প্রমুখ।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন কাষ্টমসসের সহকারি কমিশনার হুমায়ুন হাফিজ, রাজস্ব কর্মকর্তা আহসান হাবিব,সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা ময়নুল ইসলামম ঢাকাস্থ্য ভারতীয় হাইকমিশন অফিসের ফাষ্ট সেক্রেটারী রমাকান্ত গুপ্ত, ডোমার উপজেলার চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বসুনিয়া, নীলফামারীর ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবিয়া সুলতানা ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তাহের,ডোমার থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন, চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মনছুর আলী প্রমুখ।