কিশোরীগঞ্জে আদা ক্ষেতে মোড়ক
https://www.obolokon24.com/2015/11/dimla_82.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ৮নবেম্বর॥
মসলা জাতীয় অর্থকরি ফসল আদা ক্ষেতে ব্যাপক হারে মোড়ক দেখা দিয়েছে। নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় মাঠের পর মাঠ আদার গোড়া পচে যাওয়ায় সর্বশান্ত হচ্ছেন চাষিরা। আজ রবিবার এলাকার আদা চাষীরা এ কথা জানায়।সুত্রমতে এবারে এই উপজেলায় কৃষি বিভাগ আদা চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছিল ২৮১ হেক্টর জমিতে। কিন্তু আদা চাষে এলাকাটি বিখ্যাত হওয়ায় সেখানে ৪১০ হেক্টর জমিতে কৃষকরা আদা চাষ করে। আদা ক্ষেতে মোড়ক দেখা দেয়ায় প্রতি বিঘা জমিতে কৃষকদের লোকশান গুনতে হবে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা।
কৃষকরা বলেছেন আদার এ পচন রোগটি অনেকটা ছোয়াছে রোগের মত।জমির এক কর্ণারে শুরু হলে দ্রুত গোটা ক্ষেতে ছড়িয়ে পরে। তাই অনেক কৃষক মুলধন রক্ষা করতে অপরিপক্য আদা ক্ষেত থেকে তুলে পানির দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।
উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সায়েম লিটন জানায়, তিনি ২১ বিঘা জমিতে আদা লাগিয়েছিল। কিন্তু গোড়া পচন রোগে তার ১৫ বিঘা জমির আদাক্ষেত নষ্ট হয়েছে।
পুটিমারী ইউনিয়নের অপর আদাচাষি মোকবুল হোসেন জানান, তিনি এবারে ১১০ শতাংশ জমিতে আদা চাষ করেন। তার ৫০ শতক জমির আদায় পচন রোগ ধরেছে।
বড়ভিটা ইউনিয়নের মেলাবর গ্রামের আজাদ আলী,সাগর চন্দ্র, গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের খামাতপাড়ার আনছার আলীসহ অনেকে আদা ক্ষেতের গোড়াপচন রোগের মড়কের কথা জানিয়ে বলেন তারা আদা চাষে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পরামর্শ না পেয়ে পথে বসেছে।
কিশোরীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক জানান ভাল ফসল পেতে হলে ভাল বীজ বুনতে হয়।আদার বীজ কৃষকরাই সংরক্ষন করে।তাই আদা চাষাবাদে ঝুকি একটু বেশি থাকে। এ বিষয়ে কৃষি বিভাগের পক্ষে আদা চাষীদের পরামর্শ দেয়া হয়।