ডিমলা উপজেলা ছাত্রলীগের ২২ নেতাকর্মীর জামিন লাভ
https://www.obolokon24.com/2015/11/dimla_2.html
আবু ফাত্তাহ্ কামাল পাখি,স্টাফ রিপোর্টারঃ
সরকারি কাজে বাধা ও হামলা করার ঘটনায় পুলিশের দায়ের কৃত মামলার চার্জশীট ভুক্ত নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক উত্তর কুমার ও ফেরদৌস পারভেজ সহ ২২ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর জামিন পেয়েছে। সোমবার সকাল ১১টায় উক্ত মামলার ২৮ জন আসামীর মধ্যে ২২ জন আসামী নীলফামারীর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোতাহারাত আখতার ভুঁইয়ার আদালতে আতœসর্মপন করে জামিন চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।পাশাপাশি মামলার অপর চার আসামী আলমগীর কবির,শাহ আলম,আব্দুস সালাম ও সুর্য্য রায় পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছে। এ ছাড়া এই মামলায় অপর দুই আসামী যথাক্রমে সাইফুল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম ঘটনার পর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। তারা বেশ কিছুদিন হাজতবাস থাকার পর আদালত থেকে জামিন পায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জজ কোটের পিপি এ্যাডঃ অক্ষয় কুমার রায়। জামিন পাওয়া অন্যান্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হলো শাহিন, তৈইবুল, আলিমুন, লেবু, রুবেল, সোহাগ, মুসফিকুর রহমান, সায়েম, এনামুল, মিঠু, মিজান, সুভাস, সুমন, কৃষ্ণ রঞ্জন, দীপক কুমার, মধু, আমিনুর, রুবেল টেকো, আখতারুল ও দুলাল।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনীতে জানা যায় ২০১৪ সালের ২৬ এপ্রিল বিকালে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় ভ্রাম্যামান আদালতের মাধ্যমে ম্যাজিষ্ট্রিট ও পুলিশ যৌথভাবে রেজিষ্ট্রেশন বিহিন মটরসাইকেল আটক করে জরিমানা আদায় করছিল। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মী লেবুর রেজিষ্ট্রেশন বিহিন মটরসাইকেল আটক করা হয়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে এই মামলার আসামীরা ভ্রাম্যমান আদালতের উপর হামলা চালালে বেশ কিছু পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালালে আসামীরা পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় ডিমলা থানার এসআই আবু নাসের রায়হান বাদী হয়ে ১৪৩/৩৩২/৩৫৩ ধারায় একটি মামলা (নম্বর ১০) দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিমলা থানার এসআই আব্দুল লতিফ ওই ঘটনায় চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করে। সোমবার ওই মামলার চার্জশীট ভুক্ত আসামীদের হাজিরার জন্য সমনজারী ছিল। মামলার ২২ জন আসামী আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবি এ্যাডঃ আলিমুদ্দিন বসুনিয়া ও মোজাফফর হোসেন ফারুকীর মাধ্যমে জামিন চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।