সৈয়দপুর বিদ্যুৎ বিভাগে নৈরাজ্য শহরজুড়ে অবৈধ সংযোগ

মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি-

সৈয়দপুরসহ সারাদেশের মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাপনা নিয়ে সরকার যখন আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তখন সৈয়দপুরের বিদ্যুৎ বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা ও লাইনম্যানরা শুরু করেছেন অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে অর্থ আদায়। কয়েকজন কর্মকর্তার নির্দেশে উপজেলার কটি ইটভাটা ও শহরজুড়ে অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে মাসিক লাধিক টাকা তারা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে একাধিক সূত্রের অভিযোগ।
সূত্র মতে, সৈয়দপুর ওয়াপদা মোড় থেকে প্রায় ৭শ গজ পশ্চিমে সদ্য গড়ে ওঠা এক ইটভাটায় সরাসরি অবৈধভাবে দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। এছাড়া বেশকটি ইটভাটাসহ রেললাইনের ধরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেয়া হয়েছে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ। ইটভাটাগুলিসহ বেশ কয়েকটি অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যুৎ বিভাগের রফিকুল ইসলাম নামের এক আবাসিক প্রকৌশলীর নির্দেশে বিশেষ ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। সংযোগকালে এককালীন মোটা অংকের অর্থ গ্রহণ এবং পরে মাসিক নিয়মিত মাসোহারা আদায় করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ আইনে সাইডলাইনের মাধ্যমে সংযোগ দেয়া অবৈধ হলেও অনেক ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মাসিক চুক্তির ভিত্তিতে অবৈধ সংযোগ দিয়েছেন ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। পাড়া মহল্লার প্রায় শত শত গ্রাহকরা অবৈধ সংযোগ দিয়ে চলেছেন। এ সাইডলাইনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র মিল ফ্যাক্টরীও চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। পিডিবির আবাসিক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম সব জেনেও মোটা অংকের চুক্তির বিনিময়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর কোন পদক্ষেপ নেননা বলে গ্রাহকদের অভিযোগ।
অন্যদিকে জেনারেটর ব্যবসায়ীরাও তাদের ব্যবসার আড়ালে বিদ্যুৎ চুরি করে চলেছেন। আবাসিক এলাকার অনেক গ্রাহক রয়েছেন যারা পিডিবির কর্মকর্তার সাথে মাসিক মোটা অংকের চুক্তির বিনিময়ে রাতে সরাসরি বিদ্যুৎ পোলের তারের সাথে সংযোগ রেখে অটোরিক্সায় চার্জের ব্যবস্থা করেছেন। গ্রাহকরা অটোরিক্সা প্রতি ৫০ টাকা আদায় করে পিডিবির কর্মকর্তাদের ২০ টাকা প্রদান করেন। এভাবে গ্রাহকরা প্রতি রাতে হাজার হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ অবৈধভাবে ব্যবহার করে চলেছেন। এর ফলে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত লোড হওয়ায় শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থাপিত ট্রান্সফরমারগুলো বিকল হয়ে যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, সৈয়দপুর বিদ্যুৎ বিভাগের আওতায় রয়েছে প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি গ্রাহক। এর মধ্যে মাত্র ২০ হাজার গ্রাহকের রয়েছে বৈধ সংযোগ। বাকিরা সবই অবৈধ। এইসব অবৈধ সংযোগকারীর কারণে বৈধ গ্রাহকরা ভোগান্তির শিকার হলেও কেউই দেখেন না। বর্তমান সরকার জনসাধারণের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ সুবিধার ধারা অব্যাহত রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করলেও পিডিবির কর্মকর্তা নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত।
সৈয়দপুর বিদ্যুৎ বিভাগের নৈরাজ্য দমন করে অবৈধ গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পিডিবির চেয়ারম্যানসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তপে দাবি এলাকাবাসীর।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 3847351552470043183

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item