রংপুরে সাহেবগঞ্জে ৮ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষিত

হাজী মারুফ রংপুর ব্যুরো অফিস :

রংপুর নগরীতে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলেও প্রভাব খাটিয়ে ধর্ষিতার পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিয়েছে ধর্ষক ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। ফলে অসহায় পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, রংপুর নগরীর ৯নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভূক্ত মনাদর সাহেবগঞ্জ গ্রামের শ্যামল চন্দ্র সরকার গত ২৭ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রীকে নিয়ে লালমনিরহাটে তাদের আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। এ সুযোগে একই গ্রামের নিপীন চন্দ্র রায়ের লম্পট পূত্র পলাশ (২২) শ্যামল চন্দ্র রায়ের ৮ম শ্রেণি পড়–য়া মেয়েকে ঘরে একা পেয়ে ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় ধর্ষিতার আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষক ঘরের জানালা ভেঙ্গে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসি ধর্ষিতাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে মেয়েটি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধিন রয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা নির্মল চন্দ্র বাদি হয়ে ধর্ষক পলাশ চন্দ্রের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করলেও অজ্ঞাত কারণে পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি। এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য ধর্ষক পলাশ এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য নির্মল চন্দ্রকে নানাভাবে হুমকি ধামকি এবং ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছে। ফলে পরিবারটি চরম অনিশ্চয়তা এবং নিরাপত্তাহীনতার মাঝে বসবাস করছে।
এ ব্যাপারে নির্মল চন্দ্রের সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিককে বলেন, লম্পট পলাশ সুযোগ বুঝে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। আবার মামলা করায় মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাকে হুমকিও দিচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।