রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জে নাজমুন নাহার হাসপাতালের পরিচালক ও ছেলের দাপট

হাজী মারুফ রংপুর অফিস :


রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জে নাজমুন নাহার হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ নাজমুন্নাহার ও তাঁর ছেলে মোহাম্মদ তায়েফ আমিন খানকে প্রতারণা মামলায় গত ১৬ অক্টোবর গ্রেফতার হলেও তারা গত ২১ অক্টোবর জেল থেকে ছাড়া পায়। মা-ছেলে জেল থেকে বের হবার পর বাড়ির মালিকসহ আশপাশের লোকজনের উপর উত্তেজিত ভাষায় কথাবার্তা বলছেন। মাঝে মধ্যে বাড়ির মালিককেও বিভিন্ন ধরণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভাড়াটিয়াসহ তাদের লেলিয়ে দেওয়া সাঙ্গপাঙ্গদের ভয়ে বাড়ির মালিক খায়রুজ্জামান নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। অপরদিকে বাড়ির ভাড়াটিয়া জেলার পীরগাছা উপজেলার পারুল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ইনচার্জ ডাঃ নাজমুন্নাহার এবং তার ছেলে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩য় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ তায়েফ উদ্দিন খান বাড়ি ভাড়া না দিয়ে দিব্বি তাদের অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। অথচ প্রতারণা মামলায় হাজতবাস হওয়ার পরও কোন খুটির জোরে চাকরিতে বহাল তবিয়তে আছেন তা সিভিল সার্জন ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক এবং পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের নজরে আসছেন না।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১ নভেম্বর নাজমুন নাহার কিনিক ও নার্সিং হোম দেওয়ার নামে মাহিগঞ্জের খোর্দ্দ রংপুরে খায়রুজ্জামানের ২য় ও ৩য় তলা ভাড়া নেয় মোহাম্মদ তায়েফ উদ্দিন খান। কিন্তু তারা সেটি না করে নাজমুন নাহার হাসপাতাল নামকরণ করেন। এতে বাড়ি মালিক কয়েকবার নিষেধ করা সত্বেও তারা হাসপাতালের ব্যবসা দিব্বি চালয়ে আসছে। ওই হাসপাতালে কোন ধরণের অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ান না থাকায় অনেক রুগির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ও গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে অটোগ্রাফ মেশিনের গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ বাস্ট হয়ে ঘরে আগুন লাগে। এসব ঘটনাসহ বাড়ি ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করা, বাড়িতে তালা লাগানো ও হুমকি দেওয়ায় বাড়ির মালিক গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কোতয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। থানায় ডায়েরি করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন। ফলে বাড়ির মালিক উল্লেখিত ঘটনা ও রোগিসহ এলাকাবাসির অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাড়ির মালিক খায়রুজ্জামান গত ১৫ সেপ্টেম্বর ওই দুইজনকে আসামী করে রংপুর কোতয়ালী থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় গত ১৬ অক্টোবর ডাঃ নাজমুন্নাহার ও মোহাম্মদ তায়েফ উদ্দিন খানকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ।
সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার খোর্দ্দ রংপুরের মাহিগঞ্জ কলেজ সম্মুখে অবস্থিত নাজমুন নাহার হাসপাতাল এলাকার নুর আলম, সামসুল আজম ভুনু, আবুল হোসেন মন্টু, রিপন, শাহ আলম, আব্দুল মান্নান, সাইফুল ইসলাম, শামীম, রোকসানা বেগম, মো. শাহ আলম, কুলসুম বেগম, রাবেয়া বেগমসহ আরো অনেকে বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনারা এসেছেন ভালো হয়েছে। তারা আরো বলেন, এই হাসপাতালে কোন অভিজ্ঞ চিসিৎসক, টেকনিশিয়ান ও নার্স নেই। অপারেশনের নেই তেমন ব্যবস্থা। অটি রুম থাকলেও বেডের অবস্থা একেবারেই নাজুক। ডাঃ নাজমুন্নাহারের কর্মস্থল পীরগাছা উপজেলার পারুল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেলের ঔষধ চুরি করে এনে এই হাসপাতালের রোগিদের দেওয়া হয়। উন্নত ও দামি ঔষধ রোগিদের না দেওয়ার ফলে অনেক রোগির মৃত্যু হচ্ছে বলে জানান তারা। উপরোক্ত এলাকাবাসির কথার ভিত্তিতে নাজমুন নাহার হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ করে সেগুলোর সত্যতা পাওয়া গেছে। রোগি থাকার পরও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন, হাসপাতালে রোগি নেই।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ নাজমুন্নাহার ও তাঁর ছেলে মোহাম্মদ তায়েফ আমিন খান উল্লেখিত ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমরা আগামী মাসে বাড়ি ছেড়ে দেব এবং ভাড়াও পরিশোধ করবো। বর্তমানে আমাদের হাসপাতালে কোন রোগি নেই। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে বলে জানান ডাঃ নাজমুন্নাহার। 

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 7728193859864798278

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item