নীলফামারীতে গরুর ক্ষুরারোগের প্রাদুর্ভাব। দিশেহারা কৃষক

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ৩১অক্টোবর॥
নীলফামারী জেলার সদর উপজেলায় বিচ্ছিন্নভাবে  ছড়িয়ে পড়েছে গরুর ক্ষুরারোগ (এফএমডি)। আকস্মিক এ ক্ষুরারোগের আক্রমনে দিশেহারা কৃষক। প্রাণী সম্পদ দপ্তর বলছেন, ওই রোগ প্রতিরোধে যে টিকার প্রয়োজন তা চাহিদার তুলনায় সরবাহ কম।
 জেলা সদরের পৌরসভার হাড়োয়া সরকার পাড়া, দেবীরডাঙ্গা, টুপামারী ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া, খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের গাইবান্ধা মসজিদ পাড়া, ঢাকাইয়া পাড়া, পাটকামুরী, কাজিয়ার মোড়, রামনগর ইউনিয়নের বিশমুড়ি, পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের দিঘল টারী, ইটাখোলা ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া  গ্রামে প্রায় পাঁচ শতাধিক গরু ক্ষুরারোগে আক্রান্ত হয়েছে। রোগটি ছোয়াচে হওয়ায় দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে এসব গ্রামের কৃষকরা জানায়।
কৃষকদের অভিযোগ ,‘ওই রোগ প্রতিরোধের একমাত্র উপায় উপযুক্ত সময়ে গরুর টিকা প্রদান। প্রাণী সম্পদ দপ্তরে যোগাযোগ করে আমরা ক্ষুরারোগের টিকা সরবরাহ পাইনি। এখন অফিসে গেলে এক বোতল পানিতে ঔষধ মিশিয়ে দিয়ে সেটা খাওয়াতে বলছেন।
নীলফামারী জেলা সদরের পৌর এলাকার হাড়োয়া সরকার পাড়া গ্রামের কৃষক নুরে আলম বলেন, আমার বাড়িতে সাতটি গরু আছে, সবকটি ক্ষুরারোগে আক্রান্ত হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে পল্লী চিকিৎক দিয়ে গরুর চিকিৎসা করেও সুস্থ্য হয়ে উঠছেনা। গত বছর একই সময়ে আমার একটি গাভী ক্ষুরারোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
একই গ্রামের কৃষক ক্ষিরধর রায়ের পাঁচটি গরু আক্রান্ত হয়েছে ক্ষুরারোগে। এর মধ্যে একটি গাভী গত বুধবার (২৮অক্টোবর) কম দামে নীলফামারী হাটে বিক্রি করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ক্ষুরারোগে আক্রান্ত গরু সেরে উঠলেও সহজে সবল হয়ে উঠে না।’
এব্যাপারে নীলফামারী সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা রেজাউল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, সরকারী ভাবে টিকা সরবারহ কম হওয়ায় কৃষকদের মাঝে সঠিকভাবে টিকা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই কিছু জায়গায় ওই রোগ দেখা দিয়েছে। কোন কৃষক খবর দিলে আমরা সেখানে গিয়ে ক্যাম্প করে টিকা দিচ্ছি।

পুরোনো সংবাদ

স্বাস্থ্য-চিকিৎসা 6784542945357997531

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item