ডোমারের ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের বিয়ের আসল কাজী কে?
https://www.obolokon24.com/2015/10/domar_68.html
এ.আই,পলাশঃ
নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নে কাজী হিসেবে বর্তমানে কাজ করছে একাধিক কাজী।ইউনিয়নের ৪০ হাজার মানুষ আজো জানে না বিবাহ রেজিষ্ট্রির আসল কাজী কে? এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এই ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নে কাজী হিসাবে বর্তমানে কাজ করে চলছে বেলাল কাজী, আরিফ মন্ডল, আব্দুল খালেক, ওসামন কাজী, বাবুল কাজী। আবার কখনো কখনো পার্শবর্তী কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের দুই একজনকে দেখা যায় এই ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নে বিয়ের কাজ করতে। জানা গেছে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত কাজীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদে কমতি থাকায় সাময়িকভাবে কাজ করা থেকে বিরত রাখা হয় এবং একই উপজেলার কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের বেলাল কাজীকে ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের সাময়িক দায়িত্ব প্রদান করা হয়। সেই সুযোগে ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের কিছু শিক্ষিত টাউট বাটপার বিবাহ রেজিষ্ট্রারের নকল বই সংগ্রহ করে নিজেরাই কাজী সেজে পুরো ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নটি চষে বেড়াচ্ছে।এসব অবৈধ কাজী ভুয়া বিয়ে রেজিষ্ট্রির পাশাপাশি অপ্রাপ্ত ছেলে মেয়েদের গোপনে বিয়ে দিয়ে ভুয়া রেজিষ্ট্রার বইয়ে নাম লিপিবদ্ধ করে মোট অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বহু অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান আবুতাহেরের সঙ্গে মুঠোফেনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, দীর্ঘদিন যাবত ভোগডাবুড়ী ইউনিয়ন বাসী বিবাহের ব্যপারে কাজী না থাকায় অসুবিধার সম্মুখিন হচ্ছেন। তবে পার্শবর্তী কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের বেলাল কাজীকে এই ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের কাজ করার অনুমতি দিয়েছে সরকার। তিনি এ বিষয়টি দেখছেন। অপরদিকে কেতকীবাড়ী ইউপির কাজী বেলালের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তার মাধ্যমে এই ইউনিয়নে বাবুলকাজী কাজ করছে। বাকী কাজীগণ ভুয়া। বর্তমানে এই ইউনিয়নে কাজী না থাকায় ৪০ হাজার মানুষ তাদের ছেলে মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার ব্যপারে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।