ডোমারে আদালতে মামলা করায় প্রতিপক্ষের আঘাতে মা ও শিশু গুরুত্বর আহত।

আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার(নীলফামারী) প্রতিনিধি>>

নীলফামারী ডোমারে আদালতে মামলা করায় প্রতিপক্ষের আঘাতে মা ও শিশু কণ্যা গুরুত্বর আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের মৌজা পাঙ্গা বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন গ্রামে। অভিযোগ সুত্রে যানাযায়, উক্ত গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের পুত্র ফেরাজুল ইসলামের কাছ থেকে চাকুরী দেয়ার নাম করে মোট অংকের অর্থ নিয়ে প্রতারনা করেন প্রতিবেশী মৃত হাছিম উদ্দিনের পুত্র দেলাবর ও সোবাহান। এরই প্রতিকার চেয়ে ফেরাজুলের স্ত্রী মেরিনা ইয়াসমিন বাদী হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে গত ২৬/০৮/১৫ তারিখে মামলা নং- ১৬১/১৫ দায়ের করে।  এতেকরে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এরই জের ধরে ৩০ সেপ্টেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় ফেরাজুল বাড়ী যাওয়ার পথে তাকে আটক করে বেধর মারপিট করতে থাকে। বাবাকে বাঁচাতে তার শিশু কণ্যা ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী ফারিয়া তাছমিন(১১) এগিয়ে গেলে তাকে আটকে রেখে দেলাবরের স্ত্রী হাবিবা ও সোবাহানের স্ত্রী নুরজুমা তার ৩কন্যারা মিলে শিশুটিকে বেধরর মারপিট করে। একপর্যায়ে তার কানের দুলজোড়া তারা ছিনিয়ে নেয়। হটাৎ তার তল পেটে লাথি মারার কারণে সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে। শিশুটির মা মেরিনা ইয়াসমিন (৩২) সংবাদ পেয়ে ডোমার হতে যাওয়ার পথে সন্তানকে মারধরের বিষয়ে যানতে চাইলে তাকেও শত জনতার মাঝে রাস্তার উপরে  মারধর করে এবং টেনে হেচরে বাড়ীতে নিয়ে লাথি, কিল, ঘুষি সহ বাঁশের লাঠি দ্বারা একের পর এক আঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে  শ্লীলতাহানী চেষ্টা চালায় বলে তিনি অভিযোগ করেন। রাতে মা ও মেয়েকে চিকিৎসার জন্য ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্্ের ভর্তি করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী জালাল উদ্দিন জানান, আমি নিজেই শিশু নির্যাতনের বিষয়টি দেখেছি, কিন্তু তারা এলাকায় মামলাবাজ নামে পরিচিত তাই ভয়ে কেউ এগিয়ে যাচ্ছেনা। এলাকাবাসী আরো জানান, বর্তমানে তাদের কমপক্ষে ১০টি মামলায় চলছে। এলাকার সহজ সরল নিরিহ মানুষদের নামে মিথ্যা মামলায় জরিয়ে হয়রানী করায় তাদের কাজ। এনিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তারা জানান।       

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2709529362046149894

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item