ডিমলায় শিক্ষক বিহীন সরকারী বিদ্যালয়

জাহাঙ্গীর আলম রেজা,ডিমলা প্রতিনিধিঃ

 নীলফামারী ডিমলায় উপজেলায় তিস্তা অববাহিকায় একটি মাত্র সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যার কবলে ধ্বংসের দাড়প্রান্তে।
উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্টিত টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ী মধ্য সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতে তিস্তার বন্যার পানি বাড়ার সাথে সাথে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে। এবং ধিরে ধিরে জমে থাকা বন্যার পানি ও তিস্তার প্রবল তোরে দেখা দেয় ভাঙ্গনের। প্রায় দশ হাজার জন বসতির শিক্ষা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করার লক্ষে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৪ইং সালে। এবং বিল্ডিং ভবন নির্মান করা হয় ২০১২ সালে। বর্তমানে বিদ্যালয়টির মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪শ ৪৩ জন। আর এই শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেয়ার জন্য শিক্ষক সংখ্যা মাত্র দুই জন। বাকি পদ রয়েছে দির্ঘ কয়েক বছর ধরে শুন্য।
শিক্ষক শুন্য জটিলতা যাতায়াতের সমস্যা তো আছেই। তার উপড় বন্যার কারনে বিদ্যালয়টি পানিতে তলিয়ে গিয়ে বন্যার প্রবল শ্রতধারা নিয়মিত প্রবাহিত হচ্ছে বিদ্যালয়ের মূল পাটাতনের নিচদিয়ে। যার কারনে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙ্গনের। ভাঙ্গনের কারনে বিদ্যালয় ভবনটি বর্তমানে দাড়িয়ে রয়েছে শুন্যের উপড়। যেকোন মুহুর্তে ভবনটি দেবে গিয়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশঙ্খা দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়ের ঝুকিপূর্ন ভবনটিতেই চালানো হচ্ছে ১ম হতে ৩য় শ্রেনীর ৩শ ৮০ জন কমোলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম। বাকি ৪র্থ ও ৫ম শ্রেনীর ৬৩ জন শিক্ষার্থীদের পরবর্তি নির্দেশ  না দেওয়া পয্যন্ত ঘোষনা করা হয়েছে ছুটির। বন্যা খড়ার সাথে যুদ্ধকরা তিস্তা অববাহিকার খেটে খাওয়া মানুষগুলি ওই বিদ্যালয়টির দিকে তাকিয়ে ভাবেন তাদের সন্তানদের শিক্ষিত করার  স্বপ্নের কথা। তাদের সেই স্বপ্ন সর্বগ্রাসী তিস্তা ও বিদ্যালয়ের বেহাল শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে দিচ্ছে খানখান করছে। বিদ্যালয়ে খাতায় কলমে দুইজন শিক্ষক থাকলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। স্বরেজমিনে দেখাযায়, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি থাকলেও প্রধান শিক্ষক শাহাদৎ হোসেন প¦ার্শবর্তি গয়াবাড়ি ইউনিয়ন হতে বিদ্যালয়ে সপ্তাহে ২/১ দিন উপস্থিত থাকলেও। বিদ্যালয়ে আসেন নিজের সংসার আর ব্যবসা বানিজ্য সামলিয়ে নিজ সময় অনুযায়ী। অপর সহকারী শিক্ষক ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের বাসিন্দা প্রশান্ত কুমার রায় সরকার দলীয় কর্মি হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন বছরের পর বছর ধরে। আর বাড়িতে বসেই সরকারের বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন নিয়মিত। এলাকার ময়নুল হক বলেন, বিদ্যালয়ে দুইজন শিক্ষক থাকলেও তারা নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন না। শিক্ষার বেহাল অবস্থার পাশাপাশি বন্যার কারনে পানির প্রবল ¯্রােতে বিদ্যালয়টি ধ্বংসের দারপ্রান্তে দাড়িয়ে রয়েছে। বন্যার কবল হতে বিদ্যালয়টি এই মুহুর্তে রক্ষা করা না গেলে। বিদ্যালয় ভবনটি ভেঙ্গে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আশু সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। প্রধান শিক্ষক শাহাদৎ হোসেন বলেন, বিদ্যালয়টিতে যাতায়াতের ব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে পৌছতে সমস্যা হয়। তাই নির্ধারিত সময় মতো পৌছতে পারিনা। তবে নিয়মিত আসার চেষ্টা করি। সহকারী শিক্ষক প্রশান্ত কুমার বলেন, সতিযুগ হতে বিদ্যালয় গুলি এভাবেই চলে আসছে। তাই আমিও এভাবেই চলছি। বিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজল কুমার রায় বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষক অনুপস্থিতির বিষয়টি আমার জানানেই। তিনি ওই বিদ্যালয়টিপরিদর্শনের দায়িত্বে থাকলেও। পরিদর্শনতো দূরের কথা বিদ্যালয়টির অবস্থানই তিনি জানেন না। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষ অনুপস্থিতের বিষয়টি আমার জানানেই, বিষয়টি তদারকির জন্য নির্ধারিত সহকারী একজন শিক্ষা কর্মকর্তা রয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 7734725404208011395

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item