বিজয় দিবসের দিনে বিলুপ্ত সকল ছিটমহলে আলোর উৎসব উদ্ধোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

জাহাঙ্গীর আলম রেজা,ডিমলা(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

আসছে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের দিনে বিলুপ্ত ১১১টি ছিটমহলে আলোর উৎসব ঘটতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ৪৪ তম বিজয় দিবসের উৎসবের সাথে ওই দিন বিলুপ্ত ছিটমহলের বাংলাদেশের ৪১ হাজার ৪৪৯ জন নতুন নাগরিককে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে উপহার দেয়া হবে ঘরে ঘরে  বিদ্যুতের আলো। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিলুপ্ত সকল ছিটমহলে বিদ্যুতের আলোর উৎসবের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুত্র মতে ১৬ ডিসেম্বর প্রথম প্রহরের মধ্যে রাতেই বিদ্যুতের শূভ উদ্ধোধন করা হবে। বিদ্যুৎ সরবরাহ উদ্ধোধনের পর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে  প্রধানমন্ত্রী বিলুপ্ত ছিটমহল গুলো পরিদর্শনে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনের আগেই এই সকল বিলুপ্ত 'ছিটমহলবাসী'কে বিদ্যুৎ লাইন সরবরাহ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সুত্র মতে ইতোমধ্যে সকল বিলুপ্ত ছিটমহলের বিদ্যুতের সরবরাহ লাইন টানানোর জন্য নকশা ও জরিপ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন বিদ্যুতের খুঁটি সহ তার বসানোর কাজ শুরু করা হবে।
এদিকে শুধু বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন ও সরবরাহ নয়, বিলুপ্ত ছিটমহলে ইতোমধ্যে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড শুরু হয়েছে। বন্দি জীবন থেকে মুক্তি পাওয়া এসব মানুষদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের অমীমাংসিত স্থান হওয়ায় ৬৮ বছরে কোনো বিদ্যুতের লাইন বা রাষ্ট্রীয় কোন প্রকার সুযোগ সুবিধা পায়নি ছিটে  বসবাসকারী পরিবারগুলি। চলতি বছরের ৩১ জুলাই মধ্য রাত থেকে ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের মানচিত্রে নতুনভাবে জায়গা পাওয়ায় সেখানে  বিদ্যুৎ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ৪৫০ কিলোমিটার সরবরাহ লাইন নির্মাণ করবে। এর ফলে বিলুপ্ত ছিটমহলের বাংলাদেশের নতুন নাগরিকদের ১৪ হাজার ৫০০টি বাড়ির ৪১ হাজার ৪৪৯ জন সদস্য বিদ্যুৎ সংযোগ সুবিধা পাবে।
বিলুপ্ত ছিটমহলের এলাকা ভাগ অনুযায়ী বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ২৭টি বিলুপ্ত ছিটমহল এলাকায় ও  বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বাকী সব এলাকায় বিদ্যুতের লাইন স্থাপন করবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিদ্যুতের লাইন নিতে গ্রাহককে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ জমা দিতে হয়। কিনতে হয় মিটার। এসব এলাকায় এসবের কিছুই প্রয়োজন হবে না। যারা আবেদন করবেন, তাদের বাড়িতে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে।
আরইবির অধীনে চার জেলায় ২৭টি এলাকায় সাত হাজার ৮০০ পরিবারকে এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ৬ হাজার ৭৪১ পরিবারকে বিদ্যুতের সুবিধা পাবে।
বাংলাদেশ বিদ্যুতায়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় কর্মকর্তাদের ইতোমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ছিটমহলভুক্ত এলাকাগুলোয় সরেজমিন পরির্দশন করে জরুরিভিত্তিতে বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা (এপিপি) প্রণয়ন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় অনুমোদনের ব্যবস্থা গ্রহণের। একই সঙ্গে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন প্রতিবেদন অনুযায়ী ছিটমহল এলাকাগুলোয় প্রয়োজনীয় মালামাল বরাদ্দ করণ করা হবে। এ ছাড়া অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ছিটমহলগুলোয় প্রয়োজনীয় বিদ্যুতায়নের কাজ স¤পন্ন করতে হবে।
অপর দিকে আরইবির সুত্রে জানা গেছে ইতোমধ্যে নীলফামারীর ৪টি পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রামের একটি করে দুইটিসহ ৬টি বিলুপ্ত ছিটমহলে গত ৩ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ লাইনের স্থাপন কাজ শেষ করা হয়েছে। এখন তাদের আওতায় থাকা বাকী ২১ বিলুপ্ত ছিটমহলে বিদ্যুৎলাইন স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়েছে।
সুত্রমতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পিডিবি ও আরইবি বিলুপ্ত ছিটমহলের বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন করে বিলুপ্ত ছিটমহলের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করবে। কারন ১৬ ডিসেম্বর একসাথে ১১১টি বিলুপ্ত ছিটমহলে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 2353958758363491303

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item