(যত্রতত্র জবাই হচ্ছে রোগাক্রান্ত গবাদী পশু) সৈয়দপুরে জবাইকৃত পশুর স্বাস্থ্যের সনদ দিচ্ছে কসাই

মোঃ জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি-
সৈয়দপুর শহরে জবাইকৃত পশুর স্বাস্থ্যের সনদ কসাইরা দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পশুর স্বাস্থ্যের সনদপত্র ডাক্তারদের দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া হচ্ছে না।
নিয়ম অনুযায়ী পৌর এলাকায় যেসব গবাদী পশু জবাই করা হবে সেগুলোর স্বাস্থ্যের পরীা করবেন পৌরসভার নিয়োগকৃত ভেটেরীনারী সার্জেন কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে পৌরসভায় ভেটেরীনারী সার্জেন এর পদ শূন্য থাকায় জবাইকৃত পশুর স্বাস্থ্যের সনদপত্র কসাইরাই দিচ্ছে বলে ভোক্তাদের অভিযোগ।

সৈয়দপুর পৌরসভার স্বাস্থ্য শাখার প্রধান আকমল হোসেন রাজু বলেন আসলে কাজের ব্যস্ততার কারণে কসাই খানায় যাওয়াই হয় না। কসাইদের প্রধান নাদিম নামের এক কসাইকেই পশুর জবাই করাসহ জবাইকৃত পশুর মাংসে সীল দেওয়ার অনুমোতি দেওয়া হয়েছে।
পৌরসভার প্যানেল মেয়র জিয়াউল হক জিয়া বলেন পৌরসভার ভেটেরীনারী সার্জনের পদ দীর্ঘদিন থেকে শূন্য রয়েছে। শূন্য এ পদে ভেটেরীনারী সার্জনের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু অনুমোদন পাওয়া যায়নি বলেই কসাইরা জবাই করছে।
দেখা গেছে পশু জবাই করার জন্য একটি মাত্র নোংরাযুক্ত কসাইখানা রয়েছে শহরের শুরকি মিল ভাগাড় এলাকায়। এখানে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি গরু ২০/২৫ টি ছাগল জবাই করা হয়।
সূত্র জানায় পৌর কর্তৃপরে নজরদারী অভাবে নোংরাযুক্ত কসাইখানায় নাম মাত্র ৪০-৫০টি গরু ও ২০/২৫টি ছাগল জবাই হলেও শহরের আনাচে কানাচে প্রতিদিন গবাদি পশু জবাই হচ্ছে ১০০ থেকে ২০০টি। পৌরসভার নির্ধারিত কসাইখানা সহ বিভিন্ন এলাকায় জবাইকৃত পশুপ্রতি ৪০-৫০ টাকা পৌর কর্তৃপ আদায় করলেও ভেটেরীনারী সার্জন নিয়োগসহ স্বাস্থ্য সম্মত কসাইখানা নির্মাণে কোন দৃষ্টি নেই।
সৈয়দপুর মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাদিম (ছটুয়া) বলেন পৌরসভা কর্তৃপরে নির্দেশে কসাইরাই পশু জবাইসহ মাংসের গায়ে পরিতি সীল মেরে দিচ্ছেন।
সৈয়দপুর প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরীনারী সার্জেন ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন ২০১১ সালের ২৪ আগষ্ট নোংরাযুক্ত পরিবেশে বা যেখানে সেখানে পশু জবাই না করা এবং চিকিৎসকের সনদ ছাড়া পশু জবাই ও মাংসে মান নিয়ন্ত্রণ বিল নতুন আইন করা হয়। যদি কেউ এ আইন অমান্য করেন তাহলে ভ্রাম্যমান আদালত আইন ২০০৯ অনুযায়ী ১ বৎসর বিনা শ্রম কারাদণ্ড বা কমপে ৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। কিন্তু সরকারের দেয়া এ আইনকে পৌর কর্তৃপ বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে ভেটেরীনারী সার্জন নিয়োগ না দিয়ে কর্মচারী বা কসাই দ্বারা পশুর স্বাস্থ্যের সনদ দিয়ে চলেছেন এবং কসাইরা অসুস্থ ও মরে যাওয়ার উপকরণ গবাদী পশুদের জবাই করছে প্রতিনিয়ত। এ অবস্থা চলতে থাকলে চলতি গরম মৌসুমে রোগে আক্রান্ত গবাদী পশুর মাংস খেয়ে জনসাধারণের এনথ্রাক্স সহ বিভিন্ন জটিল রোগ দেখা দিতে পারে বলে জানান তিনি।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5983241670866284968

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item