সৈয়দপুর রেল কারখানার পে-অফিসে দূর্নীতি ঘুষ ছাড়া পেন্সনের টাকা মিলছে না।

মোঃ জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার পে-অফিসে ব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঘুষ ছাড়া অবসর প্রাপ্ত রেলওয়ে কর্মকর্তা, কর্মচারীদের পেন্সনের প্রদান করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। এছাড়া ওই অফিসে এক কর্মকর্তার লেলিয়ে দেওয়া সুদ ব্যবসায়ীর দ্বারা পেনসন প্রাপ্তদের কাছ থেকে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে অবসর প্রাপ্ত একাধিক কর্মকর্তা, কর্মচারী এ প্রতিবেদককে অভিযোগ করেন।
জানা যায় ১৮৭০ সালে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের বিশাল এ কারখানা স্থাপন করা হয় সৈয়দপুরে। কারখানাটি স্থাপনের পর থেকে প্রায় ৫০ বছর পর্যন্ত কর্মকর্তা কর্মচারী ও শ্রমিকদের সংখ্যা ছিল প্রায় ১০ হাজারের মত। সেই থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত কর্মস্থল থেকে অবসরে গিয়ে মৃত্যু বরণ করেন প্রায় ৩ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী। ১৯৭২ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত রেল কারখানা থেকে কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের স্বেচ্ছায় অথবা বাধ্যতামূলক ভাবে অবসর দেয়া হয় প্রায় ৪ হাজার কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের।
সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানায় রেল কারখানা থেকে ওই সব অবসর প্রাপ্তদের পেনসনের টাকা প্রথম দিকে প্রদান কর হত সৈয়দপুর রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে। দীর্ঘ ১০ বছর ওই ষ্টেশন এলাকায় পেনসনের টাকা প্রদানের ফলে দূর্নীতিসহ নানান ভাবে হয়রানীর স্বীকার হওয়ার অভিযোগে পরবর্তীতে রেল কারখানার পে-অফিসেই পেনসনের টাকা প্রদান করা শুরু হয়। কিন্তু এখানেও দূর্নীতি অনিয়ম সহ নানা ভাবে হয়রানীর স্বীকার হতে হচ্ছে অবসর প্রাপ্তদের।
মনছুর নামের অবসর প্রাপ্ত এক ব্যক্তি জানান পে-অফিসে পেনসনের টাকা উত্তোলন করতে গেলেই পে-কার্ক বাবলু নামের এক ব্যক্তি অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের কাছ থেকে কেড়ে নিচ্ছেন ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত। এভাবেই প্রায় ৪ হাজার অবসর প্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রতি মাসে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে প্রায় ২ লাখের মত। অন্য দিকে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে অনেক সময় অবসর প্রাপ্তদের পেনসনের টাকা প্রদান না করে ওই পে-কার্কের লেলিয়ে দেওয়া সুদ খোরদের হাতে গছিয়ে দেওয়া হচ্ছে আর অভাব গ্রস্থ অবসর প্রাপ্তরা চড়া সুদে হলেও টাকা নিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এভাবে একে একে সুদ খোরদের সুদের টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে অবসর প্রাপ্তরা পেনসনের টাকা উত্তোলন করলেও সব টাকা সুদ খোরদের দিয়েই খালি হাতে বাড়ী ফিরছেন। উল্লেখিত পে-কার্ক ও সুদ খোরদের সাথে রেলওয়ে ক’জন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক নেতাদের আতাত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার মিলছেন বলে অবসর প্রাপ্ত ব্যক্তিরা এ প্রতিবেদককে অভিযোগ করেন।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 3402151694606513258

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item