রংপুরে ব্যবসায়ী লিটনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন

হাজী মারুফ রংপুর ব্যুরো প্রধান :


রংপুরের পীরগঞ্জের চতরায় ব্যবসায়ী সৈয়দ আসাদুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে আশরাফুল হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল রবিবার বিক্ষোভ সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী। এ সময় আশরাফুল হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের সনাক্ত করে গ্রেফতার এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে মামলাটি সিআইডি’তে হস্তান্তরের দাবি জানানো হয়। দুপুরে চতরা ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে চতরা হাটে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ ও সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চতরা ইউনিয়নবাসীর পক্ষে মনসুর মন্ডল তারা জানান, গত ১৮ জানুয়ারী চতরাহাট বাজারের ব্যবসায়ী ও মাইন-সার্ভে প্যালেস ওয়ালটন শো-রুমের স্বত্ত্বাধিকারী আশরাফুল ইসলামকে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় আশরাফুলের স্ত্রী মোরশেদা বেগম বাদি হয়ে পীরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চতরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রাজু অর্থের বিনিময়ে পীরগঞ্জ থানার এসআই মিজানুর রহমান মিজানের সহায়তায় ওই মামলায় কাঁটাদুয়ার গ্রামের মৃত. সৈয়দ আব্দুল মাবুদ মিয়ার পুত্র বিশিষ্ট সমাজসেবী সৈয়দ আসাদুজ্জামান লিটনকে আসামি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, আশরাফুল হত্যা মামলার অপর আসামি গ্রেফতারকৃত আব্দুল খালেককে বিভিন্ন লোভ-লালসা দেখিয়ে তার কাছ থেকে মিথ্যা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়ে তাকে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত খালেক চোরের দেয়া জবানবন্দিতে (মোবাইল রেকর্ড) জানা গেছে, মামলার বাদিনী মোরশেদা বেগম, তার ভাই সাদা মিয়া ও চেয়ারম্যানের পুত্র সৈকত মিয়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এ ঘটনায় র‌্যাব-১৩ রংপুর ক্যাম্পের সদস্যরা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ও তার পুত্র সৈয়কত এবং সাদা মিয়াকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে মামলার বাদিনী মোরশেদা বেগম অর্থের বিনিময়ে তারা ৩ জন ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে র‌্যাবের কাছ থেকে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। সংবাদ সম্মেলন থেকে সৈয়দ আসাদুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে আশরাফুল হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর এবং প্রকৃত আসামিদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। এ সময় চতরা ইউনিয়নের প্রায় ১ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 88579198100532443

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item