ঢাকা থেকে অপহৃত শিশু নীলফামারীতে উদ্ধার॥ আটক ৪
https://www.obolokon24.com/2015/09/nilphamari_19.html
আবু ফাত্তাহ্ কামাল পাখি,স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঢাকার বংশাল থেকে অপহরণের ৫ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার সকালে নীলফামারী সদর থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে শিশু সাইদুর রহমান ওরফে আবেদকে (১১)। এসময় পৃথক দুই স্থান থেকে ৪জন কে আটক করা হয়। শিশুটি শরিয়তপুর জেলার নাগেরপাড়া ঘোষেরহাট গ্রামের শাহিন সফির ছেলে। শাহিন সফি ঢাকার একটি ব্যাংকে কর্মরত এবং ঢাকার মালিটোলা বংশালে বসবাস করেন। শিশুটি ঢাকার দারুল পুরান মাদ্রাসার হেফজোখানার ছাত্র। অপহরনের পর শিশুটির পিতার কাছে মুঠোফোনে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল।অভিযোগ মতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেল তিনটার দিকে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছিটরাজিব গ্রামের জাহিদুল ইসলামে পুত্র মাসুম মিয়া (২৫) সহ চারজন অপরিচিত লোক শিশুটিকে ওই মাদ্রাসা থেকে অপহরন করে । এ ঘটনায় ওই শিশুটির মা রাবেয়া খাতুন ঢাকার বংশাল থানায় একটি জিডি (নম্বর ৭০৫) দায়ের করেন। অপহরনকারীদের মুঠোফোন ট্র্যাকিং করে ঢাকা,রংপুর ও নীলফামারী পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাতে থাকে।
এ অবস্থায় বুধবার বিকালে ওই শিশুটিকে নিয়ে মাসুম মিয়া নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার নিজবাড়িতে আসে। বৃহস্পতিবার ভোরে সে শিশুটিকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর সকাল ৭ ওই বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশ সেখানে মাসুম সহ শিশুটিকে না পেয়ে মাসুমের পিতা জাহিদুল ইসলাম ও চাচা গাড়াগ্রাম কওমী মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মওলানা একরামুল হক (৫৫) কে আটক করে নিয়ে যায়। এরপর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নীলফামারী থানা পুলিশ অভিযান চালায় নীলফামারী শহরের আল জামিয়াতুল রহমানিয়া মাদ্রাসায়। সেখান থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করলেও অপহরনকারী মাসুদ মিয়াকে ধরতে পারেনি। তবে আটক করা হয় ওই মাদ্রাসার কর্মরত করে আশরাফুল ইসলাম ও মহিবুল্লাহ পাপ্পু নামের দুইজন কে।নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান পাশা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং সেই সাথে মাসুম মিয়াকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।