কিশোরগঞ্জে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ আহত ২ আটক ৪

বি পি এম জয়,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী) প্রতিনিধি ॥

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় গত শনিবার বিকালে সেচ্ছাসেবক লীগের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এসময় দুইজন গুরুত্বর আহত হয় এবং সংঘর্ষ স্থান থেকে চারজন ছাত্রলীগ কর্মীকে পুলিশ আটক করে। আহতদের কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
দলীয় সুত্রে জানা গেছে,গত ১৪ সেপ্টেম্বর সেচ্ছাসেবক লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন পতিরাম চন্দ্র রায় ও রশিদুল ইসলাম বাবু,সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন গোলাম রব্বানী ও রাসেল মিয়া। কাউন্সিলে ভোটাভোটির সময় পতিরাম সমর্থক ও রশিদুল সমর্থকদের মধ্যে জাল ভোটের ঘটনা নিয়ে চেয়ার ছোড়াছুড়ি হয়। এসময় সেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এমপি পংকজ দেবনাথ ভোটাভোটির ফলাফল প্রকাশ না করে ঢাকায় গিয়ে চারদিন পর পতিরামকে সভাপতি ও গোলাম রব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে ফলাফল ঘোষণা করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজিত সভাপতি ও পরাজিত সভাপতি প্রার্থী দুই সমর্থকদের মধ্যে পানির ফোয়ারা চত্ত্বরে লাঠি,লোহার রড ও ছোড়া নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় জেলা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল হালিম ও কর্মী সোহেল রানা আহত হয়। এতে পরাজিত সভাপতি গ্রুপের সমর্থকরা উপজেলা চত্ত্বরে চড়াও হলে আবার দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশকে খবর পেয়ে সংঘর্ষ স্থান থেকে ছাত্রলীগের চার কর্মী ফিরোজ,কবির,ডালিম ও আক্তারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এব্যাপারে পরাজিত প্রার্থী রশিদুল ইসলাম বাবু বলেন,গত ১৪ সেপ্টেম্বরের কাউন্সিল ছিল গণতন্ত্রের নামে একটি প্রহসনের নির্বাচন। আসলে এটি ছিল একটি পকেট কমিটি। ভোটাভোটি ছিল একটি নাটক।
বিজিত প্রার্থী পতিরাম রায়ের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন আমি জরুরী কাজে মটর সাইকেলে বাহিরে যাচ্ছি ফিরে এসে কথা বলবো।
কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জানান,দুই গ্রুপের মারামারির কথা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত দুই গ্রুপের মামলার প্রস্তুতি চলছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7039915504913548699

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item