কিশোরগঞ্জে বাল্য বিয়ের চেষ্টায় কনের পিতা সহ চারজনের কারাদন্ড
https://www.obolokon24.com/2015/09/kisorgang_15.html
আবু ফাত্তাহ্ কামাল পাখি.স্টাফ রিপোর্টারঃ
সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সিদ্দিকুর রহমানের উপর হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। সোমবার রাত ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের উত্তর শিঙ্গেরগাড়ী গ্রামে। এ সময় বাল্য বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দিয়ে পুলিশ কনের পিতা সহ ৪জনকে আটক করতে পারলেও বর সহ অন্যান্যরা পালিয়ে গেছে। আটককৃতদের মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে কনের পিতা দুলাল হোসেন(৪৫) মাগুড়া ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্টাড (কাজি) নুরুল মুর্তুজা (৪০) ও বরযাত্রী মহুবার মিয়া (৪৫) কে এক মাস করে ও অপর বরযাত্রী মতিয়ার রহমান (৪০) কে তিনদিনের বিনাসশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায় নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের উত্তর শিঙ্গেরগাড়ী গ্রামের দুলাল হোসেন তার সপ্তম শ্রেনী পড়–য়া মেয়ে সুইটি বেগমের সোমবার রাতে বাল্য বিয়ে আয়োজন করে একই গ্রামের রাজ্জাকুল ইসলামের পুত্র আদিল ইসলামের(২৫) সাথে। কিন্তু মেয়েটি এই বিয়েতে রাজি ছিলনা। সন্ধ্যায় মেয়েটি মুঠোফোনে কিশোরীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকতার কাছে অভিযোগ করে। অভিযোগ তিনি ভ্রাম্যমান আদালত নিয়ে বিয়ের আসরে অভিযানে গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করার অনুরোধ করেন। কিন্তু কনের পিতা সহ বরযাত্রীর লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সিদ্দিকুর রহমানের উপর হামলার চেষ্টা চালালে পুলিশ উক্ত চারজন কে আটক করলে বিয়ের আসর ছেড়ে বর সহ সকলে পালিয়ে যায়। কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি মোস্তফিজার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ।
কিশোরীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সিদ্দিকুর রহমান জানান তারা যে ঘটনাটি ঘটিয়েছে এতে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করতে পারতাম। কিন্তু আমি সেটি করিনি। বাল্য বিয়ে বন্ধের আইন অনুযায়ী ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আটক চার জনের মধ্যে তিনজন কে একমাস করে ও একজন কে তিন দিনের বিনাসশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছি।