গোবিন্দগঞ্জে ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা!
https://www.obolokon24.com/2015/09/gaibandha_47.html
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মনিকা খাতুন (১৭) নামে এক মেধাবী স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর মুখে বিষ দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সে উপজেলার তালুককাণুপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের মোতাকাবেরের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালতোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়তো মনিকা খাতুন। লেখাপড়ার এক পর্যায়ে রুবেল (১৮) নামের এক সহপাঠির সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে ওই গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, মোতাকাব্বের গত বুধবার রাতে মনিকা ও মিলিসহ ৩ মেয়েকে বাড়িতে রেখে স্ত্রীকে নিয়ে এক আত্মীয়র বাড়িতে যান। এই সুযোগে রুবল ৪/৫ জন বন্ধু নিয়ে গভীর রাতে ওই বাড়িতে গিয়ে মনিকাকে ডাক দেন। মনিকা ঘরের দরজা খুলে দেয়া মাত্রই রুবেল ঘরে ঢুকে ৩ বোনকে অচেতন করার পর মনিকাকে পার্শ্ববর্তী সুফিয়া বেগমের বাড়ির নিকট ফাঁকা জায়গায় এনে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনার পর তার মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে রুবেল ও তার সহযোগিরা সটকে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে মনিকাকে উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মনিকার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে তার মৃত্যু ঘটে।
গোবিন্দগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ এ বি এম জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।