ডোমারের বামুনীয়া ইউনিয়নে আসল ঘটনা আড়াল; মিথ্যা মামলা দিয়ে টাকার বিনিময়ে আপোষের চাপ

এ.আই. পলাশঃ
আমাদের সমাজের এখনও কিছু ব্যাক্তি আছে যাদের মনমানসিকতার সাথে সমাজে বসবাসকারী ব্যাক্তিদের মনের মিল নেই । তারা চায় সমাজের মধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে ঝগড়া বিবাদ লাগিয়ে দিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রতিহিংসার দেয়াল তৈরী করে সত্য ঘটনা আড়াল করে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে উভয় পরিবারকে কিভাবে নিঃশেষ করা যায় এটাই তাদের মুল উদ্দেশ্য। অথচ বর্তমান সরকার গ্রামের সাধারণ মানুষদের মধ্যে কোন প্রকার বাকবিতন্ডতা হলে তার সমাধানের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতের মাধ্যমে কোনপ্রকার টাকা পয়সা ছাড়াই এইসব ঘটনাগুলো নিঃস্পত্তি করার জন্য উক্ত গ্রাম আদালতকে পাকা-পুক্ত করেছেন এবং গ্রামের মানুষ সুষ্ঠু বিচার ও সমাধানের আশায় তারা ৫ বছর পরপর নিজেরাই ভোট দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য, সদস্যা ও চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। অথচ এই সমাজ বিরোধী বেশকিছু লোকের জন্য আজ গ্রাম অঞ্চলের সহজ সড়ল মানুষগুলো তাদের ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ঠিক এমনই একটি ঘটনার সূত্রপাত ঘটেছে। জানা গেছে, নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার বামুনীয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের লাল বাজার এলাকায় গত ৩রা আগস্ট ২০১৫ ইং সকাল ৭টার দিকে দয়াল চন্দ্র রায়ের আমন রোপা জমিতে মোশারফের পালিত ৮/১০টি হাঁস তার ক্ষেতে নামে। সেই সময় দয়াল চন্দ্রের স্ত্রী রুপালী বালা দেখতে পেয়ে সেই হাসগুলোকে ক্ষেত থেকে তাড়িয়ে দিয়ে মোশারফের মা মালেকা (৪৮) কে ক্ষেতে হাস নামার অপরাধে কিলঘুষি মারতে থাকে।  এসময় গ্রামের লোকজন ছুটে এসে উভয় পক্ষকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। সেই সুযোগে দয়াল চন্দ্র তার স্ত্রী রুপালী বালাকে নিজেই ব্লেড দিয়ে বাম কনের উপরের কিছু অংশ কাটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে মাটিতে ফেলে আত্মচিৎকার করতে থাকে। আশপাশের লোকজন ঘটনাটি শোনার পর সবাই হতবাক হয়ে যায়। সেই  মিথ্যা ঘটনাটিকে পুজি করে রুপালী বালার পিতা শ্রী অধর চন্দ্র রায় (৫৫) ঘটনাটি মোবাইল ফোনে শোনার পর তার নিজ বাড়ি নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল পায়রাবন্দর এলাকা থেকে ছুটে এসে নিজেই বাদী হয়ে ডোমার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং০৫, তাং ০৬/০৮/২০০১৫ ইং। মামলার আসামীরা হলেন ১। শাহআলম (৩২), ২। মোশারেফ (৩৪) ৩। সোহেল রানা (৩০) সকলের পিতা আমিন ৪। আমিন (৫৮) পিতা জমির উদ্দিন ৫। মালেকা বেগম (৪৮) স্বামীÑআমিন সর্ব সাং বামুনীয়া (লাল বাজার) এই মামলার পর থেকে উক্ত মামলার বাদী আসামী গণকে টাকার বিনিময়ে মামলাটি মিমাংসা করার প্রস্তাব দেয়। এলাকার অভিজ্ঞ মহরের প্রশ্ন প্রকাশ্য দিবালোকে একজন ব্যাক্তি সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি মিথ্যা মামলার মাধ্যমে এলাকার সহজ সরল ব্যাক্তিদের পথে বসার আসল রহস্য কী? অথচ মামলার পর প্রশাসনের ব্যাক্তিরা ঘটনা স্থলে এসে সুষ্ঠু তদন্ত করলেই আসল ঘটনা বেড়িয়ে আসবে এবং এই সহজ সরল লোকগুলো মামলা থেকে রেহ্ইা পাবে বলে মন্তব্য করেছেন।

পুরোনো সংবাদ

আইন-অপরাধ 5114242220669202969

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item